ব্রিটবাংলা ডেস্ক : পার্লামেন্টে একের পর এক প্রত্যাখ্যাত হতে হতে শেষ পর্যন্ত নিজের প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট ডিলের উপর এমপিদের ভোটাভুটিতেও পরাজিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে। ১৫ জানুয়ারী, মঙ্গলবার হাউস অব কমন্সে ২৩০ ভোটে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট ডিল প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ১৯২৪ সালের পর এই প্রথম পার্লামেন্টে সবচাইতে বেশি এমপিদের ভোটে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়। ৪৩২ জন এমপি প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট ডিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। আর ডিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে ২০২জন এমপি। নিজ দল টোরির ১১৮ জন এমপিও প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট ডিলের বিপক্ষে ভোট দেন।
পুরনো নিউজ পড়তে ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে
https://britbangla24.com/news/67084
https://britbangla24.com/news/62415
https://britbangla24.com/news/63606
এদিকে পার্লামেন্টে প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট ডিল প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সরকারের উপর নো কনফিডেন্স বা অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছে লেবার পার্টি। এতে সমর্থন দিয়েছে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। ১৬ জানুয়ারী, বুধবার পার্লামেন্টে নো কনফিডেন্স বা অনাস্থা প্রস্তাবের উপর বিতর্ক হবে। এমপিদের বিতর্কের পর প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে প্রথমে একটি ভোট হবে। তাতে সরকার অথবা বিরোধী দল, যেই বেশি ভোট পাবে তাদেরকে ১৪ দিন সময় দেওয়া হবে পরবর্তী নো কনফিডেন্স অনাস্থা ভোটে জয় লাভের জন্য। তাতে যদি সরকার জয়ী হতে না পারে তাহলে নতুন করে সাধারণ নির্বাচনের দিকে যাবে বৃটেইন। যদিও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের রাজনৈতিক দল ডেমক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি বলেছে, নো কনফিডেন্স ভোটে তারা সরকারকেই সমর্থন দেবে।
এদিকে নো কনফিডেন্স ভোটে সরকার পরাজিত হলে প্রথমেই আর্টিক্যাল ফিফটি অনুযায়ী, কোনো ধরনের ডিল ছাড়া আগামী ২৯ মার্চের ব্রেক্সিট স্থগিত করা হবে। এরপর আরো একটি রেফারেন্ডাম হতে পারে বলেও ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।