ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ও ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ও ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ও ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁর লিঙ্গপরিচয় নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যগুলোতে বিভিন্ন তথ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন ব্রিজিত। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অনেকেই দাবি করছেন, ব্রিজিত মূলত একজন ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামী নারী। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর স্ত্রী পুরুষ হিসেবে জন্ম নিয়েছিলেন।এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ফরাসি সরকার। ঘটনাকে তারা গুজব হিসেবেও আখ্যায়িত করেছে। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ধরনের গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ।ঘটনা শুরু টুইটারে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে সেখানে ছড়িয়ে পড়ে যে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ও দেশটির ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ জন্মগতভাবে নারী নন। তিনি পুরুষ হিসেবে জন্ম নিয়েছিলেন এবং সেসময় তার নাম ছিল জ্যঁ-মিশেল ত্রোগনিউক্স।এমন প্রচারণাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন ৬৩ বছর বয়সী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ। আর তাই এ কাজে প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ফার্স্ট লেডি।ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বেশ কয়েকদিন ধরে #জ্যঁ-মিশেল-ত্রোগনিউক্স হ্যাশট্যাগটি ট্রেন্ড হিসেবে ছিলো।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি বা গুজব রটানোর ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি ও প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা পুরুষ হিসেবে জন্ম নিয়েছিলেন বলে গুজব রটানো হয়েছিল।সেসময় দাবি উঠে যে, মিশেল ওবামার আসল নাম মিশেল লভাউগান রবিনসন।
ফরাসী প্রেসিডেন্টের স্ত্রী পুরুষ নাকি নারী? বিতর্ক চরমে
Advertisement