ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: কারাগারে একটি মর্মান্তিক মৃত্যু। ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিনের তালা। জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত। আল জাজিরার রিপোর্ট। ইস্যু অনেক। শীতল রাজনীতিতে হঠাৎই উত্তাপ। মারমুখী পুলিশ। ফিরেছে পুরনো শিরোনাম।
হামলা, সংঘর্ষ, মামলা, গ্রেপ্তার, তুলে নিয়ে যাওয়া।
এমনিতে অনেকদিন ধরে রাজনীতি শান্ত। একধরনের সমঝোতার আবহ। কিন্তু গত ক’দিনে পরিস্থিতি বদলেছে বেশ। কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর উত্তাপ বেড়েছে বহুগুণ। দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বন্দি ছিলেন তিনি। তার জামিন আবেদন বারবার নাকচ হয়েছে আদালতে। বৃহস্পতিবার রাতে তার আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদ আসে। মধ্যরাতেই বাম সংগঠনগুলো বিক্ষোভ করে। পরদিন বিক্ষোভ আর নানা কর্মসূচিতে উপস্থিতির সংখ্যা বাড়ে বেশ। সামনে চলে আসেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। গত ক’বছরে এদেশের রাজনীতির অন্যতম আলোচিত চরিত্র। অত্যন্ত কঠোর ভাষায় সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। ব্যানার বাদ দিয়ে সব দলকে আন্দোলনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান। সব মহল থেকে নতুন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি ওঠে। তবে দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই অ্যাকশনে নামে পুলিশ। লাঠিচার্জের মুখে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। মামলা আর গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটে।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ চেষ্টাও ভণ্ডুল করে দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদল কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে এদিন। এতে অর্ধ শতাধিক ছাত্রদল নেতাকর্মী আহত হন। আহত হন কয়েকজন পুলিশ সদস্যও। স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছিল। এরইমধ্যে গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলটি আর অংশ নেবে না। ভোটের ইস্যুতে বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করছে বিএনপি। এসব সমাবেশেও নানা কৌশলী বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে দলটিকে। দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকেই দূরে রয়েছেন। নানা অসুস্থতায় ভুগছেন তিনি। প্রায় এক বছর ধরে গুলশানের বাসায় থাকা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির মেয়াদ বাড়ার বিষয়টিও সামনে রয়েছে।
নানা ছোট ছোট আন্দোলন। মোকাবিলায় নেয়া হয়েছে পুরনো কৌশল। সমঝোতা এবং হার্ডলাইন, দু’ ধরনের আলোচনাই রয়েছে। কয়েকটি ইস্যুতে মাঠে নামার চেষ্টা করছে বিএনপি। নুরুল হক নুরকে সামনে রেখে ছোট কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন একটি মেরুকরণের চেষ্টা করছে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমও একধরনের কৌতূহল তৈরি করেছেন। সামনের দিনগুলো কেমন যাবে সেদিকে দৃষ্টি রাখছেন পর্যবেক্ষকরা।