বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে আয়োজিত ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, ডিপিএলের একটি ম্যাচে চোটে পড়েন মাশরাফি বিন মর্তুজা। শেষ মুহূর্তে সুস্থ হয়ে উঠলেও সেবারের বিশ্বমঞ্চে নড়াইল এক্সপ্রেসকে ছাড়াই দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বিসিবি। প্রিয় ক্রিকেটারের বিশ্বকাপে না খেলার পেছনে তৎকালীন হেড কোচ জেমি সিডন্সের হাত দেখেছেন অনেকেই।সমালোচিত সিডন্স বিশ্বকাপের পরই বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর অনেক দূর এগিয়েছে লাল সবুজের ক্রিকেট। নামিদামি বেশ কয়েকজন কোচের অধীনে আছে অনেক উত্থান-পতনের গল্প। সবশেষ খবর হল, ফের টাইগার ক্রিকেটে শুরু হচ্ছে সিডন্স অধ্যায়। প্রচারমাধ্যমকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একটি বিশ্বস্ত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।সাম্প্রতিক সময়ে ব্যর্থতার বৃত্তের ফাঁক গলে বের হতে পারছে না বাংলাদেশ দল। বেশিরভাগ পরাজয়ের সাক্ষী হতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণে। অ্যাশওয়েল প্রিন্সকে ব্যাটিং কোচ বানিয়েও কোনো উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি। এমতাবস্থায় জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটারের সাথে চুক্তি নবায়নের কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।ওই সূত্র জানিয়েছে, ব্যাটিং কোচ হিসেবে সিডন্সকে ফিরিয়ে আনছে দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা। সাবেক অজি ক্রিকেটারের সাথে আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে। এমনকি চুক্তিও হয়ে গেছে। সে হিসেবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই টাইগারদের ব্যাটিং দেখভাল করবেন ৫৭ বছর বয়সী এই কোচ।সমালোচিত হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট সিডন্সের অবদান কম নয়। তার অধীনেই তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের পরিণত করে তুলেছেন। এবার দেখা যাক, দ্বিতীয় দফায় এসে টাইগার ক্রিকেটের জন্য কতটা উন্নতি বয়ে আনতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের এই পরিচিত মুখ।
