নিম্নগতি ছিল সংক্রমণের, দৈনিক শনাক্তের হার ছিল এক শতাংশেরও নিচে। কিন্তু ফের করোনাভাইরাস মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। দিনকে দিন রোগী বাড়াছে, বাড়ছে শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ছয় শতাংশ ছাড়িয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শনিবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (২৬ মে সকাল ৮টা থেকে ২৭ মে সকাল ৮টা) করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬১ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় সরকারি হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৯৮ জন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে গত ৬০ দিন ধরে করোনায় মৃত্যুহীন রয়েছে দেশ।এর আগে সর্বশেষ গত ২৮ মার্চ একজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল অধিদপ্তর। সে হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪৬ জনের।অধিদপ্তর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৯৩৩টি, আর এ সময়ে পরীক্ষা হয়েছে ৯২৯টি নমুনা। তাতে করে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬১ জন। আগের দিন শনাক্ত হয়েছিল ২৮ জন, তার আগের দিন ( ২৫ মে) শনাক্ত ছিল ৬৮ জন।গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। তার আগের দিন ছিল ৪ দশমিক ৩১। এর আগের দিন (২৫ মে) ছিল ৫ দশমিক ২৫, তারও আগের দিন ২৪ মে ছিল ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। অথচ কয়েক মাস আগেও শনাক্তের হার ছিল ১ শতাংশের নিচে।দেশে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে মোট রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।অধিদপ্তর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৬১ জন শনাক্ত হয়েছেন, তার মধ্যে ৫৭ জনই মহানগরসহ ঢাকা জেলার। বাকি চারজন সিলেটের।দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ( আইইডিসিআর)। এর ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগীর মৃত্যুর কথাও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তাণ্ডবে দেশে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন রোগী শনাক্ত হন। আর ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যুর খবর দেয়া হয়। যা দেশে মহামারিতে একদিনে সর্বোচ্চ।
ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা, শনাক্তের হার ৬ শতাংশ ছাড়াল
Advertisement