ফোর্সড ম্যারিজ প্রতিরোধে আরো কঠোর হচ্ছে বৃটিশ সরকার : Forced marriage: ‘More needs to be done’, says Sajid Javid

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : জোরপূর্বক বিয়ে বা ফোর্সড ম্যারিজ প্রতিরোধে হোম অফিস আরো কঠোর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন হোম সেক্রেটারী সাজিদ জাভিদ। জোর পূর্বক বিয়ে থেকে বৃটিশ মহিলা ও মেয়েদের রক্ষায় সরকার ব্যর্থ হচ্ছে বলে বিভিন্ন চ্যারিটি থেকে সতর্ক করার পরই এই ঘোষণা দিলেন হোম সেক্রেটারী। জোরপূর্বক অনেক বিয়ের ঘটনাকে সরকার বিণা চ্যালেঞ্জেই ছেড়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগে করেছে চ্যারিটি সংস্থাগুলো।

দ্যা টাইমস পত্রিকার পক্ষ থেকে ফ্রিডম অব ইনফরমেশন আইনের অধিনে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত বছর ৮৮টি ভিসা আবেদনের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই বাতিল হয় শুধুমাত্র জোরপূর্ক বিয়ের সঙ্গে সংশ্লিস্ট বা ফোর্সড ম্যারিজ গ্রাউন্ড থেকে। সরাসরি ভুক্তভোগি, তৃতীয় পক্ষ বা কর্তৃপক্ষ, যারা বিভিন্নভাবে সন্দেহ করেছেন যে, জোরপূর্বক বিয়ে হতে পারে, তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে এসব ভিসা বাতিল করা হয়। ৪২টি ভিসা ইস্যু হলেও এর মধ্যে ১০টি ভিসা এখনো অ্যাপিলে ঝুলে আছে। এছাড়াও স্পাউসদের ভিসা প্রতিবন্ধকতার ব্যাপারে গত বছর প্রায় ১৭৫টি  ইনকোয়ারী গ্রহণ করেছে হোম অফিস। পাকিস্তান, ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পুরুষরাই জোরপূর্বক বিয়ের সঙ্গে বেশি সংশ্লিস্ট বলে হোম অফিস জানিয়েছে।

বিভিন্ন চ্যারিটি সংস্থা জানিয়েছে, বৃটিশ মহিলাদের জোর পূর্বক বিয়ে প্রথার জন্যে হুমকিতে থাকলেও ব্রিটিশ সরকার তাদের রক্ষায় কার্যত কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তবে হোম সেক্রেটারী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, জোর পূর্বক বিয়ে দেওয়া বা করা একটি অযৌক্তিক, অমানবিক এবং অসামাজিক প্রথা। এর বিরুদ্ধে আরো কঠোর হবে সরকার। কেউ জোর করে কোনো ‍বৃটিশ মহিলা বা মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে তাকে রক্ষার জন্য আরো দ্বিগুন শক্তি প্রয়োগ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে  শেডো হোম সেক্রেটারী ডায়ান এবোট বলেছেন, জোরপূর্বক বিয়ের শিকার মহিলাদের রক্ষায় বা জোরপূর্বক বিয়ের পর ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রে হোম অফিসের ভূমিকা কার্যত দুর্বল।

উল্লেখ্য জোরপূর্বক বিয়ে বা ফোর্সড ম্যারিজের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে আইন পাশ করা হয়। এতে সাজার মেয়াদ রাখা হয় অন্তত সাত বছর। এছাড়া জোর পূর্বক বিয়ে প্রতিরোধে পুলিশকেও বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়। ‘ফোর্সড ম্যারিজ প্রটাকশন অর্ডার’ নামের বিশেষ ক্ষমতায় পুলিশ সন্দেহভাজন ভুক্তভোগিকে রক্ষা বা জোবপূর্বক বিয়ের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করতে পারে। পুলিশের অর্ডার ভঙ্গকারীর ৫ বছরের দন্ডও রাখা হয়েছে  আইনে।

 

Home Secretary Sajid Javid has promised to do more to prevent forced marriages after charities warned the government was failing to protect women and girls.

Officials have been accused of letting too many abusive marriages go unchallenged.

Almost half of the 88 visa applications objected to on forced marriage grounds last year were approved.

Mr Javid said forced marriage was a “despicable, inhumane, uncivilised practice”.

Figures obtained under Freedom of Information laws by The Times showed that the Home Office had received 175 inquiries about trying to block spouses’ visas last year.

Of those, 88 became full cases – with objections coming directly from victims, from third parties, and from officials who suspect a forced marriage.

Visas were issued in 42 of the cases, while 10 are still pending or on appeal.

Mr Javid said: “We will be doing more to combat it and support victims.

“Those who force British women into marriage, be warned that we are redoubling our efforts to make sure you pay for your crimes.”

The cases examined by the Home Office involved women forced to marry men in countries including Pakistan, India, Bangladesh and the United Arab Emirates.

Charities working with forced marriage victims said that women and girls were at risk in cases where authorities took no action.

Shadow home secretary Diane Abbott said the government had been slow to act on preventing abusers from gaining visas through marriage.

Laws against forced marriage were introduced in England and Wales in 2014, with a maximum sentence of seven years.

Police were also given powers to issue Forced Marriage Protection Orders, which can impose restrictions and requirements on anyone involved in order to prevent the marriage taking place or to protect the victim.

Breaching the orders is punishable by up to five years in prison.

Advertisement