মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল। অপেক্ষা ছিল কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। অবশেষে বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের নবম প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী বক্তব্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের এই আয়োজনটা ছিল মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সালে। করোনার কারণে হঠাৎ তখন স্থগিত করে এবার আয়োজন করছি। যদিও আবার নতুন করে করোনা দেখা দিয়েছি। আমি চাইবো সকলে স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকটা নজরে রেখে, সমস্ত খেলা নিশ্চিত করবেন।’তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু গেমসের মশাল প্রজ্জ্বালন হয়েছে টুঙ্গিপাড়া থেকে। যে মাটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সে মাটিতেই তিনি ঘুমিয়ে আছেন। সেখান থেকে গেমসের মশাল প্রজ্জ্বালিত হয়, পরে তা ঢাকা নিয়ে আসে। সেখানে নবম বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের মশাল প্রজ্জ্বালিত হওয়াতে আমি অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনসহ আয়োজনে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। খেলাধুলার প্রতি সব সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব সময় আন্তরিকতা ছিল। তিনি নিজেও খেলতেন, সকলকে খেলতেও অনুপ্রেরণা দিতেন। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করলাম।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, তিনি স্বশরীরেই গেমস উদ্বোধন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে পারেননি, ‘আমি নিজে মাঠে গিয়ে সবাইকে দেখতে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে পারিনি, সে জন্য আমার মন খারাপ। আমি কথা দিয়েছিলাম বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধন করবো। তাই ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করতে হলো।১০ দিনব্যাপী এই ক্রীড়াযজ্ঞে ৯ জেলা শহরে ৩১ ডিসিপ্লিনে ৩৭৮টি সোনার পদকের (মোট পদক ১২৭১) জন্য লড়াই করবেন ৫ হাজার ৩০০ ক্রীড়াবিদ। ঢাকা ছাড়াও খেলা হবে অন্যান্য জেলা শহরে। এই গেমসের মশাল প্রজ্জ্বালন করেছেন অলিম্পিকে সরাসরি খেলা গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও ২০১৬ এসএ গেমসে দুটি স্বর্ণপদক জয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা।প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের আগে সাড়ে ৫টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। এরপর অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের খেলাধুলার উল্লেখযোগ্য সব সাফল্যগাথা।এরপর ৭টা ৪০ মিনিটে ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা, ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকের সুরক্ষায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন সীমিত করেছে আয়োজক বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)।