‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার বনদস্যুসহ নিহত ৬

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: সুন্দরবনের কয়রা এবং হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার বনদস্যুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। এদিকে লক্ষ্মীপুরে দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবক নিহত হয়েছে। ওই সকল স্থান থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে এসব ঘটনা ঘটে। খুলনা অফিস ও আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

খুলনা অফিস: সুন্দরবনে র‌্যাব-৬ এর সঙ্গে ‌‘বন্দুকযুদ্ধে’ জলদস্যু বাহিনী আমিনুর বাহিনীর প্রধান আমিনুর ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড রফিকসহ ৪জন নিহত হয়েছে। এসময় র‌্যাবের সৈনিক সৌরভ ও সেপাহি নাহিদ আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কয়রা উপজেলার সুন্দরবনের কয়রাখালীনামক স্থানে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থান থেকে র‌্যাব তিনটি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।

র‌্যাব-৬ এর ভারপ্রাপ্ত স্পেশাল কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা খবর পায় জলদস্যু আমিনুর বাহিনীর বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের শিবসা নদীর কয়রাখালী নামক স্থানে কয়েকটি নৌকায় অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে অবস্থান করছে। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে র‌্যাবের একটি টিম সেখানে অভিযানে যায়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা সুন্দরবনের জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে সশস্ত্র অবস্থান নেয়। র‌্যাব সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে তারা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে চার জলদস্যু নিহত ও র‌্যাবের এক সৈনিক ও সিপাহি আহত হন। পরে স্থানীয়রা নিহত চার জলদস্যুর মধ্যে আমিনুর বাহিনীর প্রধান আমিনুর, তার সেকেন্ড ইন কমান্ড রফিক ও জলদস্যু বাহিনীর সদস্য শ্রীমণি সাহার পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হন। বাকি একজনের পরিচয় জানা যায়নি। তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।

হবিগঞ্জ: শায়েস্তাগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৩ মামলার আসামি নিহত হয়েছেন। উপজেলার সুরাবই গ্রামে মঙ্গলবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত আসামি কুদরত আলী সদর উপজেলার দড়িয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওমর আলীর ছেলে। কুদরত আন্তবিভাগ ডাকাত সর্দার ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১৩টি ডাকাতির মামলা রয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুরাবই গ্রামের ফজলু মিয়ার বাঁশ বাগানে মঙ্গলবার ভোররাতে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা সেখানে অভিযান চালায়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা হামলা করে। পরে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় এবং ডাকাতরা দিশেহারা হয়ে পালিয়ে যায়।

পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে নিহতের নাম কুদরত আলী বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

ঘটনাস্থল থেকে দেশি পাইপগান, ছয় রাউন্ড গুলি, দুটি রামদা, রডসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহারের সরঞ্জমাদি উদ্ধার করা হয়। অভিযানকালে ডাকাত দলের হামলায় ডিবির এসআই আবুল কালাম আজাদ, এসআই মোজাম্মেল হক, কনস্টেবল জয়নাল আবেদিন, নূরুল ইসলাম, রনি কর ও রিপন আহত হন। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

লক্ষ্মীপুর: সদর উপজেলার বকুলতলা থেকে মঙ্গলবার ভোরে ইলিয়াস (৩৫) নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইলিয়াস উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের উত্তর মাগুরা গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে। পুলিশ বলছে, দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি ও পাঁচটি গুলির খোসা এবং দেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। নিহতের বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

Advertisement