বরিস জনসন কনজারভেটিভ পার্টির নতুন লিডার এবং প্রধানমন্ত্রী হলে চ্যান্সেলার ফিলিপ হ্যামন্ড পদত্যাগ করবেন ঘোষণা দিয়েছেন। চ্যান্সেলার জানিয়েছেন, কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই আগামী ৩১শে অক্টোবর ইইউ থেকে বের হয়ে আসতে চান বরিস জনসন। স্বচ্ছ ধারণা ছাড়া কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর না করে বরং কেবিনেট থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানান চ্যান্সেলার ফিলিপ হ্যামন। আগামী মঙ্গলবার ঘোষণা হবে কনজারভেটিভ পার্টির নতুন লিডার এবং পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নাম। লিডারশীপ নির্বাচনে বরিস জনসনের জয়ী হবার সম্ভাবনাই বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত তিন বছর ধরে বৃটেনের চ্যান্সেলারের দায়িত্ব পালন করছেন ফিলিপ হ্যামন। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে তাকে চ্যান্সেলার হিসেবে নিয়োগ দেন। রোববার এন্ড্রুমার শোতে এসে চ্যান্সেলার জানালেন, বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হলে বুধবার থেরিজা মে’র পদত্যাগের পর তিনি নিজেও পদত্যাগ করবেন।
বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হলে শুধু চ্যান্সেলার নয় বর্তমান কেবিনেটের আরো অনেকেই পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রেক্সিট ইস্যুতে বিভক্ত টোরির অভ্যন্তরীন কোন্দলকে প্রথমেই মোকাবেলা করতে হবে নতুন লিডারকে। এছাড়াও আয়ারল্যান্ড এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড সীমান্তের পলিসি নিয়েও দ্বন্দ্বে জড়াতে হবে নো- ডিলে ব্রেক্সিটে আগ্রহী বরিসকে। সীমান্ত নিয়ে বর্তমানে যে পলিসি রয়েছে তা বরিসের পছন্দ নয়। অন্যদিকে ইইউ এবং আয়ারল্যান্ড এই পলিসির পক্ষে। তাই এ নিয়েও ঝামেলা পোহাতে হবে বরিসকে।
সোমবার বিকাল ৫টার সময় টোরি লিডারশীপ নির্বাচনের ভোটাভুটি শেষ হবে। আর মঙ্গলবার যে কোনো সময় ঘোষণা করা হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম। বুধবার নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর রাণীর কাছে গিয়ে পদত্যাগ জমা দেবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে। একই দিন নতুন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ দেবেন রাণী।