বাংলাদেশে ১০ গুন হারে বাড়ছে ইনভেস্টমেন্ট রিটার্ন : ডব্লিউবিসিসির রোডশোতে ব্যবসায়ীদের মতামত

বিশেষ প্রতিনিধি : নিরব বিপ্লবের পথে হাটছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে গ্লোবাল মিডিয়ায় বাংলাদেশকে অভিহিত করা হচ্ছে ফন্টিয়ার ফাইভ, মিরাকল অফ দি ইস্ট নানা গুণবাচক নামে। শিক্ষা, ফার্মাসিউটিক্যাল, আইটি বা যে কোন ধরণের দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ একটি বাস্তব ট্যাম্পলেট এমনটিও বলেছেন অনেকেই।


ওয়েল্স বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্সের আয়োজনে থিঙ্ক লোকাল গো গ্লোবাল শিরোনামে সোমবার সোয়ানসির স্বনামধন্য লিবাটি স্টেডিয়াম হলে আয়োজিত অনুষ্টানে এসব বিষয় উঠে আসে উপস্থিত অতিথিদের বক্তব্যে। ব্রেক্সিট সংঘটিত হওয়ার মধ্য দিয়ে স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে এখন থেকেই প্রস্তুতির বিষয়টিও বললেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।
সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারী মাহ্বুব নূরের পরিচালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের চেয়ার ডিলাবর এ হুসাইন।
অনুষ্ঠিত সেমিনারে স্থানীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে এ নিয়ে গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য রাখা হয়।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কমার্সিয়াল কাউন্সেল্র এস এম জাকারিয়া হক বলেন, বাংলাদেশ নীরব বিপ্লবের পথে হাটছে। দেশের জিডিপি বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে বিদেশী বিনিয়োগ। জাপানের বিগ বি উদ্যোগের বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউরো ফুডের সত্বাধিকারী সেলিম হুসাইন এমবিই। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পূর্বের চেয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগে ১০ গুণ বেশী রির্টান দিচ্ছে যা ওয়েলসেও সম্ভব নয়। আর অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ বান্ধব। ১০ বছর আগে যেখানে একটি প্রজেক্ট চালু করতে হিমশিম খেতে হত এখন তা নেই বললেই চলে।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসায় পরিবর্তন নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেও বক্তব্য রাখেন তিনি। ব্যবসায়ের সময়ের সাথে না চললে টয়েজ রাস বা বিহেইচএস এর মতো অবস্থা হতে পারে।
বাংলাদেশ এবং ওয়েল্স এর মধ্যে যোগসূত্র স্তাপনে কাজ করে আসছে ডব্লিউবিসিসি। বার্মিংহাম বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার মোহাম্মদ জুলকার নাইন বলেন হাইকমিশন এ ধরনের সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।
ব্রেক্সিটের পূর্বাভাস দিয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, এখন থেকেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শুরু করা প্রয়োজন
এতে আরো বক্তব্য রাখেন কার্ডিফ এয়ারপোর্টের এক্সিকিউটিভ, সোয়ানসির হেড অফ কাউন্সিল। এসময় উপস্থিত ছিলেন সোয়ানসির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। ডব্লিউবিসিসির ডাইরেক্টরবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তার আহমেদ, শাহ্ শাফী, আজিজ আহমেদ চৌধুরী সহ আরো অনেকেই।

Advertisement