প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পারিক স্বার্থে যোগযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, দেশ দু’টির মধ্যে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া আন্ত-সীমান্ত রুটগুলো পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগ বাড়াতে হবে। যদি দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়, তবে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আসাম ও ত্রিপুরা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।’বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর গণভবনে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।বৈঠকে তারা দেশ দুটির মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশগুলোর মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সফর সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগাবে।ভারতীয় মন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা, কুশিয়ারা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টন, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব আলোচনায় এসেছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ভাল রয়েছে এবং জয়শঙ্কর বলেন ভারতে স্বাভাবিকতা ফিরে আসছে।পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আজ বিকেলে ঢাকায় এসেছেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
Advertisement