বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় : পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। তিনি বলেন- মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়কে অবশ্যম্ভাবী করতে ভারত অসামান্য অবদান রেখেছিল। দেশের চলমান পথ পরিক্রমায় ভারত এখন আমাদের উন্নয়ন সহযোগী।প্রতিমন্ত্রী সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পঞ্চম বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের দেশের স্বাধীনতার জন্যে ভারত অনন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সারা বিশ্বে জনমত তৈরী করেছিল। এদেশের এক কোটি শরণার্থীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর পরাজয়কে তরান্বিত করেছিল। এদেশের মানুষ ভারতের অবদানকে কৃতজ্ঞ চিত্তে আজীবন মনে রাখবে। দেশ বিরোধী একটি অশুভ চক্র এদেশে ভারত বিদ্বেষী মনোভাব তৈরীর চেষ্টা করে। কিন্তু এই অপচেষ্টা কখনো সফল হবে না। ভারতের সাথে আমাদের অকৃত্রিম সম্পর্ক কখনো নিঃশেষ হবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে ভারত আমাদের দেশকে সর্বাত্বকভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
সভায় ভারতের উপ-হাই কমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাট্টি বলেন, ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশ শুধু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীই নয়, কালের পরিক্রমায় উত্তীর্ণ সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র।সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহীদুল ইসলাম বকুল, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সাজেদুর রহমান খান প্রমুখ।সভায় জানানো হয়, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর’, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী’ এবং ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন’ উপলক্ষে আগামী ২৬-২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের তিনটি প্রাদেশিক পরিষদের মন্ত্রীসহ ৪০ সদস্য এবং বাংলাদেশের শিল্পী-সাহিত্যিকদের সমন্বয়ে রাজশাহী ও নাটোরে মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমি, প্রতœতত্ত্ব নিদর্শন পরিদর্শন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। এ উপলক্ষে দুই দেশের প্রতিনিধিদল ২৭ ফেব্রুয়ারি নাটোরের রাণীভবানী রাজবাড়ি ও উত্তরা গণভবন পরিদর্শনসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করবেন। নাটোরে মৈত্রী বৃক্ষও রোপণ করা হবে।

Advertisement