ফোনে প্রায় একঘণ্টা কথা বললেন আমেরিকা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। বৈঠক শেষে দুই পক্ষই জানিয়েছেন, সব বিষয়ে সহমত না হলেও বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।বৃহস্পতিবার এই বৈঠকে কথা হয়েছে বলে প্রথম জানায় হোয়াইট হাউস। কিছুক্ষণের মধ্যে ক্রেমলিনের পক্ষেও প্রেস বিবৃতি জারি হয়। নতুন বছরে ভিয়েনায় দুই প্রেসিডেন্টের মুখোমুখি বৈঠক হবে বলেও এদিন স্থির হয়েছে।কী জানিয়েছে ক্রেমলিন?
রাশিয়া জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আমেরিকা রাশিয়ার উপর যে নিষেধাজ্ঞাগুলি জারি করেছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।সম্প্রতি ইউক্রেন প্রসঙ্গে দুই দেশের মধ্যে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। আমেরিকা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা প্রবেশ করলে তার ফল ভালো হবে না। আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করবে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছে। এ প্রসঙ্গে ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন বাইডেনকে জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে ফল ভালো হবে না। রাশিয়া আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক বন্ধ করে দিলে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ভারসাম্য নষ্ট হবে। ফলে আমেরিকা ওই ধরনের কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে যেন একাধিকবার চিন্তা করে।
ক্রেমলিন অবশ্য জানিয়েছে, এদিনের বৈঠকে বেশ কিছু গঠনমূলক আলোচনাও হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্কে যে ফাটল তৈরি হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে তা দূর হবে বলেই মনে করছে তারা।আমেরিকা কী বলছে?আমেরিকাও এদিনের বৈঠককে গঠনমূলক বলেই দাবি করেছে। তবে একইসঙ্গে হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ইউক্রেন প্রসঙ্গে কোনোভাবেই তারা রাশিয়াকে আগ্রাসী হতে দেবে না।ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে এদিনও রাশিয়াকে সচেতন করেছে আমেরিকা। সেনা না সরলে এবং রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা পাঠালে অ্যামেরিকা যে কঠিন পদক্ষেপ নেবে, তা এদিনও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।নতুন বছরের গোড়ার দিকে ভিয়েনায় দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন বলে এদিন স্থির হয়েছে। তবে কবে সেই বৈঠক হবে, তা এখনো জানা যায়নি।সূত্র: ডয়েচে ভেলে