বাবা কে পেলেন জামাল!

আহাদ চৌধুরী বাবু

জামাল খান, বিলেতের কমিউনিটিতে সবার সুখ ও দুঃখের এক নির্ভীক ঠিকানার নাম, শহীদ পরিবারের সন্তান। জন্মের  আগেই মায়ের গর্ভে থাকা  অবস্থায় বাবাকে হারান। বাবার  মৃত্যুর ৭ মাস পরে  তার জন্ম।

জামালের মগজে  বাবা  নামক  বটবৃক্ষের কোন স্মৃতি  নেই, আছে  অন্তরে  বাবা  শব্দটির প্রতি দরদ,

অতৃপ্ত সুখ। বাবা শব্দটি জামালের কাছে স্নেহ মমতার পরশ

না পাওয়া এক বিশাল যন্ত্রণাবোধ ৷

তার পিতা শহীদ,মোহাম্মদ  নূরুল  হক  খান  ১৯৭১  সালের ৫ই মে,মহান  মুক্তিযুদ্ধ  চলাকালিন সময়ে তৎকালীন  ইপিআরেরনায়েক  হিসাবে  কৰ্মরত  ছিলেন। যুদ্ধে  অংশ  গ্রহনকালিন  সময়ে  ধারনা  করা হয়  সিলেটের  কােন জায়গায় পাক  হানাদার  বাহিনীর  হাতে মৃত্যু  বরণ  করেন ও শহীদ হন তিনি ।

বাবার  স্মৃতির  খোজে  সন্তান জামাল খান  এবং  পরিবার  অনেক বছর থেকে চেষ্টা করছেন।

অবশেষে আজ ২৭ শে ফেব্রুয়ারী বুধবার ঢাকার বিজিবি সদর  দপ্তরের  সংরক্ষিত  আৰ্কাইভ থেকে জামাল খান সংগ্ৰহ  করেছেন বাবার ছবি এবং কাজের সময়কালীন গুরুত্বপূর্ণ  ডকুমেন্ট ও ফাইল ৷

এই প্রাপ্তর মধ্য দিয়ে ১৯৭২ সালে জন্ম নেওয়া সন্তান জামাল যেনো বাবাকে ফিরে পেলেন৷

সিলেটে অবস্থানরত বিলেত প্রবাসী রাজনীতিক ও শিল্প সংস্কৃতির অঙ্গনের নিবেদিত প্রাণ জামাল খান কান্না জনিত কন্ঠে প্রতিক্রিয়ায় বললেন, আমি কৃতজ্ঞ সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, ব্রিগেডিয়ার লুৎফুর রহমান ও কর্নেল রশিদের প্রতি। তাদের সহযোগীতায় আমি  আমার বেহেস্থ ফিরে পেলাম। তিনি বলেন, এতো গুলো বছর পরে যেনো বাবা  ফিরে এলেন।

শহীদ নূরুল হক খাঁন এর স্ত্ৰী রাজিয়া বেগমের গ্রামের  বাড়ী সিলেটের ওসমানী  নগর থানার সিরাজপুর (খন্দকার বাজার, বালাগঞ্জ)  গ্রামে। নূরুল হক খানের  ৬ ছেলে ও এক  মেয়ের  মধ্যে  জামাল  সবার  ছোট।

জামালের  বড়ভাই সদরুজ্জামান খাঁন লন্ডনের রেডব্রিজ কাউন্সিলের একজন কাউন্সিলার।

Advertisement