বিজিবি মোতায়েনের পরও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। আজ সকাল থেকে হাজারো যাত্রী ঘাটে ভিড় করেন। তারা প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে পারাপারের জন্য ফেরির অপেক্ষায় রয়েছেন। এদিকে শিমুলিয়া ঘাটে মালবাহী গাড়ি, এম্বুলেন্স মোটরসাইকেলেরও দীর্ঘলাইন দেখা গেছে। পারাপারের অপেক্ষায় আছে প্রায় ৩৫০টি যানবাহন।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানিয়েছে, রাতভর ১৫টি ফেরি মালবাহী যান পারাপার করেছে। রোববার ভোর থেকে থেকে পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে। তবে আটটি অ্যাম্বুলেন্সসহ সকাল পৌনে ৮টার দিকে ‘ফেরি ফরিদপুর’ ১নং ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। ফেরিটিতে উঠার জন্য যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে।মুহূর্তেই ভরে যায় ফেরিটি। লোকজনের চাপে ফেরিটির ঢালা উঠানো যাচ্ছিল না। এ সময় পুলিশ মৃদু লাঠি চার্জ করে ফেরির ঢালা উঠানোর কোনোরকম ব্যবস্থা করে। কিন্তু গাদাগাদি করে ছোট্ট ফেরিটিতে দেড় সহস্রাধিক মানুষ পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। এরপর যাত্রীর চাপে আরও তিনটি ফেরি ঘাট ছেড়ে যান। এখনো হাজার হাজার যাত্রী পারাপারের অপেক্ষায় আছে। সবখানেই গাদাগাদি ভিড়। স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। এ ছাড়া ফেরিঘাটের আশপাশে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই জেলে নৌকাসহ ট্রলারে যাত্রীরা পদ্মা পার হওয়ার চেষ্টা করে। নৌপুলিশ এ পর্যন্ত ৮টি ট্রলার আটক করেছে।এদিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে ফেরি কুঞ্জলতাও ৮টি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে শিমুলিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে।