বিদায় ঘণ্টা বাজছে ট্রাম্পের, অন্তর্বর্তী প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত জো বাইডেন

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: সত্যকে ভয়াবহভাবে মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বাস্তবতা থেকে দূরে থাকতে পারছেন না। তার বিদায় ঘণ্টা বাজছে। আগামী ২০শে জানুয়ারি তাকে ছাড়তে হচ্ছে হোয়াইট হাউস। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেন তার প্রশাসনিক কাজ শুরু করেছেন। এর মধ্যে ট্রাম্প পরিষ্কার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন তার প্রেসিডেন্সির দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে টুইট করেছেন। তাতে তিনি তার টিমকে বলেছেন প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় যা করার তাই করতে। তার বিদায়ে শুরু হবে বাইডেন প্রশাসনের সময়।

তবে তার অন্তর্বর্তী টিমকে ট্রাম্প পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করবেন কিনা তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। এতে বলা হয়, নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর প্রায় তিন সপ্তাহ কেটে গেছে। এ সময় ট্রাম্প উদ্ভট সব অভিযোগ দাঁড় করিয়েছেন। তিনি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর আক্রমণ করেছেন। কিন্তু তার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার যে খায়েস ছিল তা সোমবার উবে যায়। বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়েছে জেনারেল সার্ভিসেস এডমিনিস্ট্রেটর এমিলি মারফি প্রশাসনিক সুইচ চূড়ান্তভাবে অন করে দিয়েছেন সোমবার। তার এই অবস্থানের কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে প্রশাসনিক মেশিনারি। কিন্তু এই ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন বহু মিলিয়ন ডলার। প্রশাসন সেই অর্থ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেন টিমকে সরবরাহ করতে এবং তার টিমকে সব বিষয়ে ব্রিফিং করতে বাধ্য। তবে এমিলি মারফির সর্বশেষ অবস্থানের আগেই জো বাইডেন বসে থাকেননি। তিনি কীভাবে তার প্রশাসন সাজাবেন, কীভাবে ক্ষমতা বিতরণ করবেন তা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এ জন্য তিনি তার মন্ত্রিপরিষদে বেছে নিচ্ছেন হাই প্রোফাইল সব ঝানু রাজনীতিক, অর্থনীতিবিদ, পররাষ্ট্রনীতিবিদসহ অন্য ব্যক্তিদের। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিনি আগামী বছরের ২০শে জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ক্ষমতা শুরু করতে যাচ্ছেন। পছন্দের তালিকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আছেন তার দীর্ঘদিনের পরিচিত, অভিজ্ঞ অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

ওদিকে আরো ২ মাস ক্ষমতায় আছেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি প্রেসিডেন্সির ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবেন। একই সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের জন্য স্যাবোটাজ করার পর্যাপ্ত সময় পাবেন।

Advertisement