ব্রিটবাংলা ডেস্ক : বিদেশী অপরাধীরা যাতে পালাতে না পারে এবং সর্বদা তাদের পর্যবেক্ষণে রাখতে জামিনের পর তাদের পায়ে বৈদ্যতিক ট্যাগ পরানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন হোম সেক্রেটারী প্রীতি পাটেল। ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন সিস্টেমকে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর করার অংশ হিসেবে এই পরিকল্পনার ঘোষণা দেন তিনি।
সান পত্রিকার বরাত দিয়ে ডৈইলি মেইলে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়েছে, বর্তমানে দন্ডপ্রাপ্ত বিদেশী অপরাধীদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর এখতিয়ার রয়েছে ব্রিটেনের। ২০১৯ সালের জানুয়ারী থেকে থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার ৯শ ৮৫ জন বিদেশী অপরাধেকে স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে হোম অফিস। চলতি বছরেই ৯ শ বিদেশী অপরাধিকে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঝুলে থাকা মামলা লড়ার জন্যে অনেককেই ফেরত পাঠাতে পারেনি হোম অফিস। এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই’শ বেশি অপরাধীকে জিপিএস ট্যাগ পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন থেকে যে কোনো বিদেশী অপরাধীকে সাজা ভোগের মধ্যখানে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হলে তাদের পায়ে ইলেক্ট্রনিক ট্যাগ পরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হোম সেক্রেটারী প্রীতি পাটেল। এ জন্যে ২০২২ সালের ভেতরে অন্তত ৪৫ হাজার ইলেক্ট্রনিক ট্যাগ ক্রয় করবে হোম অফিস। নতুন ডিভাইস পরার পর অপরাধীরা কে, কোথায়, কি করছে এবং জামিনের কোন শর্ত লঙ্ঘন করছে কি না কিংবা নতুন করে অপরাধমূলক কোনো তৎপরতায় জড়িত হয়েছে কি না, তার সব তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানতে পারবে হোম অফিস।
সীমান্ত এবং ইমিগ্রেশন সিস্টেমকে ডিজিটালাইজ করার জন্যে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে প্রায় ৫শ পৃষ্ঠার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন হোম সেক্রেটারী প্রীতি পাটেল। ঘোষিত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে হোম অফিস।
নতুন নিয়মে যে সব অপরাধী ডিপোর্টেশন অর্ডার ভঙ্গ করে পুনরায় ব্রিটেনে ফিরবে, তাদের সাজার মেয়াদ ৬ মাস থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে।