বিশেষ প্রতিনিধি : বিদেশের ছোট্ট কোনো শহরের মতোই পরিচ্ছন্ন এবং পরিপাটি একটি শহর হিসেবে বিয়ানীবাজার পৌরসভাকে গড়ে তুলতে চান পৌর মেয়র আব্দুস শুকুর। জানালেন রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কাজ চলছে। বিদেশী আদলে বসানো হয়েছে ডাস্টবিন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। ব্রিটবাংলার সঙ্গে আলাপকালে জানালেন, প্রায় ১৭ বছর আগে গঠিত পৌর সভায় সময় মতো নির্বাচন হলে উন্নয়নের দিকে আরো বহুদূর এগিয়ে যেতো প্রবাসী অধ্যুষিত বিয়ানীবাজার পৌরসভা।
এখানে উল্লেখ্য যে, ২০০১ সালে বিয়ানীবাজারকে পৌসভায় উন্নীত করা হয়। প্রশাসক নিয়োগ করা হয় তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে। তবে এর বিরুদ্ধে সদর ইউপি চেয়ারম্যান রীট করেন প্রশাসক হওয়ার জন্যে। এরপর একের পর এক মামলার জঠিলতায় প্রায় ১৭ বছর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। নির্বাচন না হওয়ার ফলে ২০০৫ সালে দ্বিতীয় শ্রেণীর পৌরসভায় নামানো হয় বিয়ানীবাজারকে। দীর্ঘ আইনী লড়াই শেষে চলতি বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন আব্দুস শুকুর। আর এর মধ্যে দিয়ে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হয় বিয়ানীবাজার পৌরসভা।
নির্বাচিত পৌর মেয়র হিসেবে মাত্র প্রায় ৫ মাস পার করেছেন আব্দুস শুকুর। এর মধ্যে প্রায় ১৭ বছরের জঞ্জাল পেছনে ফেলে শুরু করেছেন উন্নয়ন কাজ। এ জন্যে প্রাথমিকভাবে সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করার উপর গুরুত্ব দেন তিনি। মেয়র জানালেন, বিদেশী শহরের আদলেই গড়ে তুলা হচ্ছে বিয়ানীবাজার পৌরশহরকে।সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন শহরে আইনশৃঙ্খলাও একটি বড় ইস্যু মেয়রের কাছে। সেই লক্ষ্যে তিনি কাজও করছেন। বসিয়েছেন সিসিটিভি ক্যামেরা।
প্রবাসীদের সহযোগিতার পাশাপাশি পৌরসভার নিজস্ব আয় বাড়ানোরও উদ্যোগ নিয়েছেন মেয়র। প্রায় ৪৬ কোটি টাকার পৌরবাজেটের ৫ কোটি টাকা নিজস্ব আয় ধরেছেন তিনি। কাজের ক্ষেত্রে নিজের দল এবং গ্রামকে প্রাধান্য দিচ্ছেন বলেও কারো কারো অভিযোগ রয়েছে। তবে তা মানতে নারাজ তিনি।
প্রায় ১৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত বিয়ানীবাজার পৌরসভা। সংরক্ষিত ৩টি পদসহ ৯টি ওয়ার্ডে ১২জন কাউন্সিলর। পৌরসভার ভোটারের সংখ্যা ২৫ হাজার হলেও এর মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫০হাজার।