উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে স্পেনকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ফ্রান্স। প্রথমে পিছিয়ে পড়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় দিদিয়ে দেশমের দল। বেনজেমার গোলে সমতার পর এমবাপের গোলে জয়ের উৎসবে মাতে ফ্রান্স। আর এনিয়ে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ, ইউরো ও নেশন্স লিগ-তিনটিই জয়ের কীর্তি গড়ল দেশটি।রোববার রাতে ইতালির সান সিরোতে মিকেল ওয়ারযাবাল স্পেনকে এগিয়ে নেওয়ার পর চমৎকার গোলে সমতা ফেরান করিম বেনজেমা। ম্যাচের ৮০ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে বল দখলে এগিয়ে ছিল স্পেন। গোলের জন্য তাদের ১২ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে। অপরদিকে ফ্রান্সের ১২ শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল।বল দখলে প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকলেও গোলের দেখা পায়নি স্পেন। যদিও কয়েকবার ফ্রান্সের পাল্টা আক্রমণের শিকার হয়েছিল স্প্যানিশরা, তবে প্রথমার্ধে রক্ষণভাগের দেয়াল আর পেরোতে পারেনি তারা। উল্টো ৪১তম মিনিটে ডি বক্স থেকে বল ঠেকিয়ে পায়ে চোট পান ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে। ম্যানইউর এ ডিফেন্ডারের বদলি হয়ে মাঠে নামে দায়োত উপমেকানো।ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দল গোলের দেখা না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মিকেল ওয়ারযাবালের গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। সের্হিও বুসকেতসের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন রিয়েল সোসিয়েদাদের এই ফরোয়ার্ড।
তবে বেশিক্ষণ তাদের এগিয়ে থাকতে দেননি করিম বেনজেমা। ৬৬তম মিনিটে গোল করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান তিনি। এ সময় বক্সের বাম কোণায় এমবাপের কাছ থেকে বল পেয়ে আড়াআড়ি শট নেন বেনজেমা। বল স্পেনের গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে গোলপোস্টের উপরের অংশ দিয়ে জালে জড়ায়।আর ৮০তম মিনিটে এমবাপের গোলে জয় নিশ্চিত হয় ফ্রান্সের। হার্নান্দেজ থেকে বল পেয়ে ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে ডি-বক্স থেকে প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে নেন পিএসজির এই ফরোয়ার্ড। তবে গোলটি অফসাইড হয়েছে বলে দাবি করে স্পেন। কিন্তু রেফারি গোলটিকে বৈধতা দেন। তাতে চ্যাম্পিয়নশিপ ঘরে তোলে ফ্রান্স।তাতে ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে প্রথমবারের মতো নেশন্স লিগ শিরোপার স্বাদ পায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এর আগে স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বেলজিয়ামকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে তৃতীয় হয়েছে ইতালি।এক অ্যাসিস্ট ও এক গোল করে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড বেনজেমা।উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নেশন্স লিগের প্রথম আসরের শিরোপা জিতেছিল পর্তুগাল।