ব্যয়বহুল রেন্ট এবং রেইটস ব্রিকলেনের ছোট্ট ছোট্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মেরে ফেলছে : Brick Lane businesses struggling with high rents and rates

ব্রিটবাংলা ডেস্ক :  ইস্ট লন্ডনের বাঙালী অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের ব্রিকলেন এবং বেথনালগ্রীণ রোডের ছোট এবং মাঝারী ব্যবসায়ীরা ব্যয়বহুল রেন্ট এন্ড রেইটসের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন। ব্যয়বহুল রেন্টস এবং রেইট ছোট্ট এবং মাঝারী আকারের ব্যবসায়ীদের প্রতিদিন তীলে তীলে হত্যা করছে। রেন্টস এবং রেইট কমিয়ে ইস্ট এন্ডের ছোট্ট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে লন্ডন মেয়রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার লন্ডন মেয়র সাদিক খানের অফিসের একটি প্রতিনিধি দল এই এলাকায় বিজনেসওয়াক এবাউটে এসেছিলেন। তাদের কাছে ইস্ট এন্ডের ছোট্ট এবং মাঝারী আকারের ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এ সময় সিটি হলের ইকোনমি কমিটির চেয়ারম্যান সুসান হল, লেবার পার্টির সিটি এন্ড ইস্ট এন্ডের এসেম্বলী মেম্বার উন্মেশ দেশাই, গ্রিন পার্টির এসেম্বলী মেম্বার ক্যারোলাইন রাসেল প্রায় এক ঘন্টাব্যাপি ওয়াকএবাউটে ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনেন।

বেথনালগ্রীন রোডের হলি শট কফি শপের মালিক ম্যাথিউ কিম এই প্রতিনিধিকে বলেন, যে হারে রেন্ট বেড়েছে তা অসহনীয়। অবস্থা এমন যে, এখানে বড় কোনো কোম্পানী দ্বিগুন রেন্ট দিয়ে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। কিন্তু বাস্তবে তা না। বাস্তবতা হল ব্যয়বহুল রেন্ট এন্ড রেইটের ফলে এখানকার ছোট ছোট ব্যবসাগুলো তীলে তীলে মরে যাচ্ছে। এর উদাহরণ হিসেবে তার আশপাশের খালি পড়ে থাকা আরো ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখান তিনি। ছোট্ট ছোট্ট ব্যবসায়ীদের প্রতি আরো বেশি সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে সিটি হলের কাছে আবেদন জানান ম্যাথিউ কিম।

তবে বেথনালগ্রীণ এলাকার বেকন স্ট্রীটের সালভাজের স্টীভ ডবকিনের কথা শুনে হতাবক হয়েছেন লন্ডন এসেম্বলি মেম্বাররা। এই ব্যবসায়ী জানান আজ থেকে ২০ বছর আগে বছরে মাত্র ১৫ হাজার পাউন্ড রেন্ট দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। আর এখন তাকে বছরে ১শ ৭ হাজার পাউন্ড রেন্ট গুণতে হচ্ছে একই ব্যবসার জন্যে।

অন্যদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কুইকার স্ট্রীটের ট্যাক্সটাইল ফার্ম ‘ক্রসেন্ট ট্রেডিং’এর ফিলিপ পিটাক! তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোনো রকম টিকে থাকার জন্যে আমরা এখন দ্বিগুন হারে পরিশ্রম করে যাচ্ছি। একই পরিশ্রম দু’ বছর আগেও করেছি। কিন্তু এখন করতে হচ্ছে ডাবল। কিন্তু আমাদের দেখার বা সমর্থন করার যেনো কেউ নেই। আমরা নি:স্ব হচ্ছি না। বরং নিজেদের তীলে তীলে হত্যা করে নিজেকেই বাচিয়ে রাখার থাকার চেষ্টা করছি!

ব্যবসায়ীদের কথা শুনার পর এক প্রতিক্রিয়ায়, সিটি হলের ইকোনমি কমিটির চেয়ার সুসান হল বলেছেন, অব্যাহত রেন্ট বৃদ্ধির ফলে এই এলাকার ব্যবসায়ীদের অবস্থা দিনের পর দিন খারাপের দিকে  যাচ্ছে। যা অত্যন্ত দু:খজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

গ্রিন পার্টির এসেম্বলী মেম্বার ক্যারোলাইন রাসেল ছোট্ট ব্যবসায়ীদের রক্ষা করতে বড় বড় ডেভোলাপারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বড় বড় ডেভোলাপারদের বিল্ডিং ওয়ার্ক কাজ শুরু পর রোড এবং ফুটপাত বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ছোট্ট ছোট্ট ব্যবসায়ীর ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

উল্লেখ্য, ইস্ট এন্ডের স্মল বিসনেস গ্রুপ, দ্যা ইস্ট এন্ড ট্রেইডস গিল্ড এই ওয়াকএবাউটের আয়োজন করে। এই সংগঠনের প্রায় ৯০টি দোকান সদস্য রয়েছে। এছাড়া ৩২টি খাদ্য দ্রব্যের দোকান, আটটি মার্কেট এবং প্রায় ৯৩টি সার্বিস ফার্ম আছে এই সংগঠনের সঙ্গে।

লন্ডনর নেটওয়ার্ক রেলের আর্চেস বিক্রি না করার জন্যে ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছে গিল্ড। বিক্রি না করে আর্চগুলো স্মল বিসনেসদের দেওয়ার জন্যে আহ্বান জানিয়েছে  এই সংগঠনটি।

“We’re killing ourselves to earn a living.”

That was the message about the cost of doing trade that independent small business owners sent city hall chiefs visiting Brick Lane and Bethnal Green today (June 19).

Matthew Kim, owner of the Holy Shot coffee shop in Bethnal Green Road, said: “It’s unjustified how expensive rents are. It seems as if big companies come in and rents double.”

He called for more support for small business owners pointing out four neighbouring shops in the street lying empty after businesses folded.

Steve Dobkin of Bacon Street Salvage shocked the London Assembly members when he revealed his business’s rent had skyrocketed from £15,000 a year 20 years ago to £107,000 today.

Philip Pittack of textiles firm Crescent Trading in Quaker Street said: “Nobody wants to help us because we’re too small. We are working twice as hard as we did two years ago just to stand still.

“We’re not destitute, but we’re killing ourselves to earn a living.”

 

Every trader called for a business rate reduction and support over rent to help them survive.

City hall’s economy committee chairman Susan Hall described it as a sad situation getting worse with rents continuing to rise.

Green AM Caroline Russell argued businesses needed protecting from developers who close roads and pavements during building work – hitting traders’ profits.

The hour-long walkabout was organised by small business group the East End Trades Guild which represents 90 shops, 32 eateries, eight markets and 93 services firms.

The Guild is also involved with campaign group Guardians of the Arches battling to stop the sale of Network Rail arches that are home to many small businesses.

It is calling for affordable work spaces and a London working rent along the lines of the London living rent which lowers the price of renting a home for some earners.

Director Krissie Nicholson said high rent was the most important issue facing 300 small business owners the Guild spoke to.

The city hall chiefs were surveying small business owners to find out how to support them.

Advertisement