সাহিদুর রহমান সুহেল:ব্রিটিশ জনগণ জীবনকে খুঁজতে গিয়ে স্বাধীনতার অভাব অনুভব করেছে,নিজেকে ভালোবাসতে গিয়ে দেশ প্রেম পেয়েছে
ইউরোপে থেকে বেরিয়ে আসার রায় জয় পেয়েছে৷
ব্রিটিশরা হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না তারা অনেক কিছু বিচার -বিশ্লেষণ করে!কারণ এই জাতি ফিলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে সরি বলারও অনেক রহস্য থাকে৷
রিমেইন ক্যাম্পেইনের সরকার প্রধান,বিরোধীদল অর্থনৈতিক মন্দা,চাকুরীর বাজার এবং তাদের শক্তিশালী সকল যুক্তির বিপক্ষে বেরিয়ে আসার ক্যাম্পেইন সহ জনগণ খুঁজে নিয়েছে তারা তাদের আগামী প্রজন্মের নতুন ভবিষ্যৎ ৷
অর্থনৈতিক মন্দাভাব ব্রিটিশরা আগেই ডাবল-ট্রিবল রিসিশন পার করেছে,যার অনেক কিছু হারিয়ে যায় তার আর হারাবার ভয় থাকেনা !মুক্ত করেছে আগামীতে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে ভর্তির সু-ব্যবস্থা,মুক্ত বাজার বাণিজ্য প্রিমিয়ারশিপ ফুটবলে এখন বিদেশিদের দৌড়াত্বের ক্যাপ লাগিয়ে তার বদলে নিজেদেরখেলোয়াড়দের অধিক সুযোগ প্রধান করে ভেঙ্গে পড়া ফুটবলের জন্মদাতা আগামীতে আবার ফিরে আসার স্বপ্ন দেখতে পাবে ৷
আগামীতে তুরস্কের অন্তর্ভুক্তি সন্ত্রাসবাদের গন্ধ ভাবিয়েছিলো,জনস্রোত নয় ৷
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে ইউরোপিয়ানরা প্রেগনেট হবে নিজ দেশে সন্তান প্রসব করবে এ দেশে তেমনি কোনো অপারেশন কিংবা সন্তানদেরকে নিজ দেশে রেখে বেনিফিট ক্লেইম,আবার নন ইউরোপের বাইরে বিয়ে করতে ব্রিটিশ সিটিজেনকে 18600 ইনকাম সহ নানানা ধরণের ইংলিশ টেস্ট দিতে হয়,ইউরোপিয়ানদের বেলায় কিছুই দরকার নেই,অথচ সাবেক ইংল্যান্ডের কোচ ইতালিয়ান ফাবিও ক্যাপেলো ইংলিশ না যেনও এতো বড়ো একটা চাকুরী করতেন,এখানে আমাদের মতো নন ইউরোপিয়ানদের জন্য এখানে আমি একটু ডিসক্রিমিনেশন দেখি !একজন ব্রিটিশ সিটিজেন/ডিজেবল হয়েও তাকে ঘরের জন্য বিডিং করতে হয়,ইউরোপিয়ানরা এখানে এসেই ঘর পেয়ে যায় ৷
এটাও নিশ্চয় ভাবিয়েছে ছেড়ে আসা ভোটারদেরকে ৷
শুধু আমাদের বাঙালি কমিউনিটির যারা মূলধারার রাজনীতির সাথে সংযুক্ত তারা আমার দেখা দেশীয় রাজনীতির সাথেও যুক্ত,তাই তারাও দেশীয় রাজনীতির দলের এবং নেতার মতো আনুগত্য মেনে প্রচার-প্রচারণা করেছেন ৷
জাতীয় স্বার্থ কিংবা ব্যক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের বিবেককে বন্ধক রেখেছে এই রেফারেন্ডমে !এই বৃত্ত থেকে বের হতে এবারও তারা সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ ৷
বলতে দ্বিধা নেই জি-8 সম্মেলনে শেখ হাসিনার ক্যামেরনের সাথে আলোচনায় রিমেইন সমর্থনটাই আমাদের রাজনীতিবিদেরকে আরো বেশি উজ্জীবিত করেছে ৷
তবে এখানে একটা কথা বলে রাখি জরমিন করবিন রেমেইন ক্যাম্পেইন ঘা ছাড়া ভাব হোয়াইট ব্রিটিশরা পর্যবেক্ষণ করলেও আমাদের বাংলাদেশি ব্রিটিশরা ধান-আর নৌকার মাঝিদেরকে যেভাবে দেখেন সে ভাবেই দেখলেন !হোয়াইট ব্রিটিশদের কাছ থেকে আমাদেরকে আবারো শিখতে হবে দল ও নেতার চেয়ে দেশ বড় !আবার কেউ-কেউ প্রশ্ন করেছেন আমাদের কারী ব্যবসা নিয়ে,শুধু এইটুকু বলতে চাই ব্রিটেনের 90 ভাগ রেস্টুরেন্ট দিনের ব্যবসা শুরু করেন কোনো বুকিং ছাড়া,আশা নিয়ে থাকেন এই বুঝি কাস্টমার আসবে ৷
আমাদের ব্যবসাতো সব সময়তো ঝুঁকির মধ্যে ৷আগামীতে তার্কির যুক্তে আরো নতুন আরো তার্কিশ রেস্টুরেন্ট খোলায় আমাদের কারী ব্যবসা কতোটা নিরাপদ? ইতিমধ্যে তার্কিশ রেস্টুরেন্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ৷
পরিশেষে এইটুকু বলবো ছেড়ে আসায় রায়ে লাভ-ক্ষতিতো থাকবে ৷আমাদেরকে ভাবতে হবে জাতীয় স্বার্থ ৷
এই পৃথিবীতে সবাই একে ওপরের উপর নর্ভরশীল ৷মনে রাখতে হবে ব্রিটেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে আসায় লাভ-ক্ষতি উভয়ের হবে ৷
ব্রিটেনের জনগণ বুঝে-শুনেই নিয়েছেন ৷এই পথ চলা হউক শরৎ প্রভাতে ফুটে থাকা কাশ ফুলের ন্যায় মসৃন ৷ আসুন আমরা সবাই মিলে শাপলা ফুল-আর টিউলিপের সুমধুর ঘ্রানে ব্রিটেনের আলো-বাতাসে বেড়ে উঠুক আমাদের ভবিষ্যত এবং আমাদের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত ৷
সাহিদুর রহমান সুহেল
ক্রীড়ালোক ও রোববার প্রতিনিধি
&
Cheaf reporter Bangla mail
যুক্তরাজ্য
বার্মিংহাম