ব্রিটেনে করোনা সংক্রমন কমতির দিকে

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ব্রিটেনে গত চব্বিশ ঘন্টায় আরো ১৯ হাজার ১শ ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে শুক্রবার জানানো হয়েছে। এছাড়া গত চব্বিশ ঘন্টায় করোনায় মারা যান আরো ১ হাজার ১৪ জন। এ নিয়ে ব্রিটেনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ২শ ৬৪ জনের গিয়ে পৌঁছাল। এদিকে গত চব্বিশ ঘন্টায় ব্রিটেনে আরো ৪ লাখ ৮০ হাজার ৫শ ৬০ জন মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। এ নিয়ে ব্রিটেনে সর্বমোট ১০ দশমিক ৯ মিলিয়নের বেশি মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করলেন।
কিছু কিছু এলাকায় সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার সাথে সাথে গণহাওে টেস্ট শুরু করা হলেও সার্বিকভাবে ব্রিটেনে করোনার সংক্রমন কমেছে। শুক্রবার বার্মিংহ্যামের ওয়ালসলে সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমন ঠেকাতে স্ট্রীটে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে টেস্ট করা হয়েছে। তবে
করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১ মিলিয়নের নিচে নেমে এসছে বলে জানিয়েছে অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস সংক্ষেপে ওএনএস।
সংস্থার জরিপ রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ২৪ থেকে ৩০ জানুয়ারীর ভেতরে ইংল্যান্ডে প্রতি ৬৫ জনে ১ জন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। একই সংখ্যা ছিল নর্দার্ন আয়ারল্যন্ডেও। আর স্কটল্যান্ডে ছিল প্রতি ১শ ১৫ জনে ১ জন। এই তিন জায়গাতেই আগের সপ্তাহের তুলনায় সংক্রমন কমতির দিকে। তবে ওয়েলসে প্রতি ৭০ জনে ১ জন করোনায় আকান্ত। এখানে কোনো পরিবর্তন হয়নি। অন্যদিকে আর রেইট এক দশমিক শূণ্য থেকে শূন্য দশমিক সাতে নেমে এসেছে।
তবে গত সপ্তাহে ইংল্যান্ডের করবির স্যান্ডওয়েল এবং নোসলিতে বর্তমানে সংক্রমনের হার ছিল সবচাইতে বেশি। আর টরিজের শেটল্যান্ড আইল্যান্ড এবং ওর্কনি আইল্যান্ডে সংক্রমনের হার ছিল একেবারেই কম।

এদিকে ওএনএসের জরিপে বলা হয়েছে, লকডাউনে মানুষের জীবন ব্যবস্থায়ও ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। গত বছরের বসন্ত মৌসুমের লকডাউনে ৮১ শতাংশ মানুষ বলেছেন, শপিং এবং ব্যায়াম ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হননি। আর বর্তমান লকডাউনে ৫৭ শতাংশ বলেছেন একই কথা। যদিও বর্তমান লকডাউনে ৯০ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলছেন। তবে করোনা মহামারী কারণে জানুয়ারী শেষ সপ্তাহে মানুষের লাইফ স্যাটিসফেকশন এবং হ্যাপিনেসের অনুভুতি ছিল একদম নি¤œ পর্যায়ে।
এদিকে সংক্রমনের হার যতোই কমছে ততোই লকডাউন শিথিলের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসছে সাধারণ মানুষ। যদিও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, করোনা সংক্রমন এবং মৃত্যুর হার বিবেচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

Advertisement