ব্রিটেনে প্রতি ৩৫ জনে একজন করোনায় আক্রান্ত

দৈনিক করোনা শনাক্তের সংখ্যায় আবারও রেকর্ড ভেঙ্গেছে ব্রিটেনে। গত ২৪ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ১৮৬জন। টানা তৃতীয় দিনের মতো এই রেকর্ড ভঙ্গের ঘটনা ঘটলো। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স এর এক পৃথক জরিপে জানা গেছে, ১৯ ডিসেম্বর তারিখে ব্রিটেনের প্রতি ৩৫ জনের মধ্যে ১ জন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।কিন্তু লন্ডনের পরিস্থিতি ছিল আরও খারাপ। লন্ডনের প্রতি ২০জনের মধ্যে একজন বাসিন্দার করোনা টেস্টের ফল পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছিল।১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত নেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওয়েলসে প্রতি ৪৫ জনে ১ জন, স্কটল্যান্ডে প্রতি ৬৫জনে একজন আর নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে প্রতি ৪০ জনে ১ জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বিদ্যুৎ গতিতে বৃদ্ধি পেলেও প্রাথমিক গবেষণায় জানা গেছে, ওমিক্রন ধরনের করোনাভাইরাস ডেল্টার চেয়ে মৃদু অসুস্থতা সৃষ্টি করে; রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির প্রবণতাও ওমিক্রনের ক্ষেত্রে কম। ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির প্রধান ডক্টর জেনি হ্যারিস এই পরিস্থিতিতে নির্বিঘ্নে ক্রিসমাস উৎসব উদযাপনের ক্ষীণ আশা হিসেবে দেখছেন।

এদিকে ক্রিসমাসের আগের দিনেও পুরোদমে চলে কোভিডের টিকাদান কর্মসূচি। বেইজিংস্টকের একটি টিকাদান কেন্দ্রের দৃশ্য এটি।ইংল্যান্ডে ক্রিসমাসের ছুটিতেও চলবে টিকাদান। ক্রিসমাস এবং বক্সিং-ডে সহ ছুটির দিনগুলোতে সর্বমোট ২লাখ টিকা দেয়া হবে। প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ- যার জন্য যেটা প্রযোজ্য।
স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে ক্রিসমাস এবং বক্সিং-ডে সহ ২৭ডিসেম্বর পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকবে। এ কারণে শুক্রবার, অর্থাৎ ক্রিসমাসের আগের দিনে হলেও টিকা নিয়ে নিতে জনগণকে উৎসাহিত করা হয়।এদিকে বুস্টার টিকার কর্মসূচি যখন পুরোদমে এগিয়ে চলছে, তখন বিশেষজ্ঞরা সুখবর দিয়ে বলছেন, ওমিক্রনের প্রভাব ডেল্টার চেয়ে কম তীব্র হবে। তবে টিকার আওতায় না আসা তরুণ জনগোষ্ঠী সহ সামগ্রিক জনগোষ্ঠীর ওপর এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ এখনও কাটেনি।বয়স্ক মানুষের ওপর ওমিক্রনের প্রভাব নিয়েও চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।
ওমিক্রন কম গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করলেও এটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে একটি ভাইরাস। আগামী দিনগুলোতে আরও কয়েক লাখ মানুষ এতে আক্রান্ত হবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরাও এর বাইরে থাকবেন না। ফলে হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট সৃষ্টি হতে পারে। ইতোমধ্যে কিছু হাসপাতাল এই পরিস্থিতি টের পেতে শুরু করেছে।
হাসপাতালের ওপর চাপ কমাতে তাই বুস্টার টিকা কর্মসূচিতে খুব মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। ফুটবল স্টেডিয়াম, কমিউনিটি সেন্টার, চার্চ, মসজিদ, মন্দিরের পর টিকাদান কেন্দ্রে পরিণত করতে দেখা গেলো একটি এশিয়ান রেস্টুরেন্টকে। ব্রাডফোরড এর রেস্টুরেন্টটিকে এক দিনের জন্য টিকাদান কেন্দ্রে রূপ দেন রেস্টুরেন্টের মালিক।

Advertisement