ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান গোলাগুলিতে উভয় দেশের মোট ১৬ জন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতের গোলাবর্ষণে পাকিস্তানের কমপক্ষে ছয় বেসামরিক নাগরিক এবং এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।
রবিবার স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতের হামলায় আরও নয় বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন। চলতি বছর নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতের গোলাবর্ষণে পাকিস্তানে একদিনে এটাই সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে এক সেনা শহীদ হয়েছেন এবং আরও দুই সেনা আহত হয়েছেন।
আইএসপিআর-এর তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, সীমান্তের জুরা, শাহকোট এবং নওসেরি সেক্টরে ভারতের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাব দিয়েছে পাক সেনাবাহিনী। এতে ভারতের ৯ সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। একই সঙ্গে ভারতের দুটি বাঙ্কার ধ্বংস হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ভারত তাদের ৯ সেনা সদস্য নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
রবিবার সকালের দিকে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের কুপওয়ারা সীমান্তে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে পাক সেনাবাহিনী গুলি চালালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই সদস্য ও এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।
এরপরেই পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের ভেতরে সন্ত্রাসীদের অন্তত চারটি আস্তানা ও ঘাঁটিতে হামলা চালানোর দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। রবিবার সকালের দিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের তাঙধর সেক্টরের বিপরীত পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই হামলায় ব্যাপক হতাহত হয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই বলছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিলাম ঘাট উপত্যকায় সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ও চৌকিতে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এতে পাক সেনাবাহিনীর চার থেকে পাঁচ সদস্য ও জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈয়বার অনেক সদস্য হতাহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
গত ৫ আগস্ট ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়। তারপর থেকেই সীমান্তে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে দু’দেশের সেনাবাহিনী। একে অপরের বিরুদ্ধে বার বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। দুপক্ষের সংঘর্ষে দুদেশের সেনাবাহিনী ছাড়াও বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।