ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: দক্ষিণ এশিয়ার আন্তঃবাণিজ্য এশিয়ান অঞ্চলের চেয়ে পাঁচ গুণ কম। বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল ও মিয়ানমারের উপ-অঞ্চলে আন্ত-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে এই সংযোগ সাধারণ মানুষের জীবনমানের ক্ষেত্রে ১২ ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লীর মেট্রোপলিটন হোটেলে CUTS Inteational আয়োজিত আঞ্চলিক সংলাপে এসব কথা তুলে ধরেন উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান। আন্তঃসংযোগ ও জীবন জীবিকার ওপর তার প্রভাব বিষয়ের অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে তিনি এ সব কথা বলেন।
এই উপ-অঞ্চলের প্রতিনিধিরা প্যানেলিস্ট হিসেবে সীমান্ত অঞ্চলের বর্তমান অবস্থা এবং মটর ভেহিকেল চুক্তির পরবর্তী অবস্থার তূলনামুলক আলোচনা করেন। প্যানেলিস্টদের আলোচনার সূত্র ধরে ড. আতিউর রহমান এর চুক্তির প্রভাব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশিজনদের সাথে নিবিড় আলোচনার আহবান জানান। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমকে এই উপ-আঞ্চলিক উদ্যোগের ইতিবাচক প্রভাব জনগণের কাছে তুলে ধরার অনুরোধ করেন।
তিনি আরও বলেন, এই উপ-অঞ্চলের মানুষের মানসিক সংযোগ বরাবরই ছিল। এক সময় রেল ও নদী নির্ভর ব্যাপক সংযোগ বিদ্যমান ছিল এই উপ-অঞ্চলে। কিন্তু রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার কারণে এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বহু বছর পর এই উপ-অঞ্চলের সংযোগ বাড়ানোর এই উদ্যোগ মানুষ ইতিবাচক ভাবেই নেবেন। সেজন্যে মানুষকে এর কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে রাখতে হবে। তাদের কর্ম সুযোগ বাড়াতে হবে। এটা শুধু বাণিজ্য কোরিডোর হবে না। এটা হবে অর্থনৈতিক কোরিডোর। সীমান্ত এলাকার মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মানবিক উন্নয়নের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। সে জন্যে সব চেয়ে অবহেলিত নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। সে জন্যে সরকারের নানা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এনজিও, গণমাধ্যম এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান গুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে। আজকের এই সংলাপ সেদিক থেকে খুবই সময় উপযোগী একটি উদ্যোগ।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি মতলুব আহমেদ, সিপিডি এর সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, উন্নয়ন সমন্বয়ের এ্যামিরেটস ফেলো ড. এ কে এনামুল হক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।