মাদক ও অস্ত্র মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে সম্রাট

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রমনা থানায় দায়ের করা মাদক ও অস্ত্র মামলায় মঙ্গলবার ঢাকার মে‌ট্রোপ‌লিটন ম্যা‌জি‌স্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

একই সঙ্গে মাদক মামলায় যুবলীগের এই শাখার বহিষ্কৃত সহসভাপ‌তি এনামুল হক আরমানকে পাঁচদিনের রিমান্ড দেয়া হ‌য়ে‌ছে।

এর আগে সকাল পৌনে ১১টার দিকে সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ৯ অ‌ক্টোবর সম্রা‌টের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থ হয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তাই রিমান্ড শুনা‌নির জন্য সে‌দিন আদালত মঙ্গলবার দিন ধার্য ক‌রেন।

এদিকে ওই দিনই এনামুলক হক আরমানকেও মাদক মালায় গ্রেফতার দেখা‌নো হয়ে‌ছে। তাকেও মঙ্গলবার কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

প্রসঙ্গত গত ৭ অক্টোবর (সোমবার) সম্রাটের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। উভয় মামলার এজাহারে বলা হয়েছে—মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুল ও পল্টনসহ রাজধানীতে ১০টি ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা ছিল সম্রাটের। সবার কাছে সে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি, দলীয় পদের অপব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতো। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করতো তার ক্যাডাররা। সম্রাটের কার্যালয় থেকে র‌্যাব অবৈধ অস্ত্র, মাদকসহ নির্যাতন করার জন্য ইলেকট্রিক শকড দেওয়ার মেশিন উদ্ধার করেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিভিন্ন স্পোর্টস ক্লাবের আড়ালে ক্যাসিনো ব্যবসা চালানোর অভিযোগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান শুরু করে র‌্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় ওই দিনই গ্রেফতার করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। এর দুদিন পর গ্রেফতার করা হয় যুবলীগ নেতা জিকে শামীমকে। অভিযানের প্রথম দিন থেকেই আলোচনায় আসে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের নাম। গত ২৩ সেপ্টেম্বর অন্যদের সঙ্গে সম্রাটেরও দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়।

৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। তার সঙ্গে আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করে র‌্যাব।

৬ অক্টোবর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্ব একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। এদিন নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। এর পর সম্রাটকে কারাগারে পাঠানো হয়।

Advertisement