কবির আল মাহমুদ মাদ্রিদ স্পেন :
চতুর্থবারের মতো স্পেনের মাদ্রিদে আয়োজিত আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ।
মেলায় অংশ নিতে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইমরান এর নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মাদ্রিদ সফর করে। মেলার ৩৮তম আসরে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৩৬টি দেশের ১০হাজার ৫০টি প্রতিষ্ঠান যোগ দেয়।
স্পেনের সর্ববৃহৎ(ফিট্যুর) এই পর্যটন মেলায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) এই মেলায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে।
অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে মেলার আটটি প্যাভিলিয়নে স্টল বরাদ্দ পান ট্যুর অপারেটররা। পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত এই মেলায় পর্যটনশিল্পের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এ খাতে বিদ্যমান সমস্যা, নতুন পর্যটনকেন্দ্রের পরিচিতি ও আগামী পর্যটন মৌসুম কেমন হতে পারে, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে প্রতিদিন।
গত কাল (১৮ জানুয়ারী )বৃহস্পতিবার মেলার দৃতীয় দিন সকালে বাংলাদেশ স্টল পরিদর্শনে যান স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার।
তিনি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কউন্সিলর নাভিদ শফিউল্লাহ ,বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইমরান,বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের ডিরেক্টর নিখিল রঞ্জন রয় ,বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের ডেপুটি ম্যানেজার আলী আহমেদ ইনামুল হক ,হেভেন ট্যুরস অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর তারেক মাহমুদ বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল উইং শাখার কমার্শিয়াল অ্যানাইজার খাবিয়ের বুরগজ ,স্পেন বাংলা প্রেস ক্লাব সভাপতি সাহাদুল সুহেদ ,গ্লোবাল ট্রাভেলস এর পরিচালক আহমেদ শাফি ,মাদ্রিদ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশি টেক্সটাইল উদ্যোগতা উত্তম মিত্র প্রমুখ।
রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নেরও উদ্বোধন করেন।
এসময় সরকারি প্রতিনিধিদলসহ কন্স্যুলেটের সব সদস্য এবং স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মেলা প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার উপস্থিত সাংবাদিক এবং ট্যুর অপারেটরসদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ সরকার পর্যটনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং দেশে-বিদেশে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণকে আনন্দময় ও নিরাপদ করার জন্য সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপও তিনি তুলে ধরেন।
এছাড়া রাষ্ট্রদূত স্প্যানিশ নাগরিকসহ ভ্রমণপিপাসু বিদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশের নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো দেখার আমন্ত্রণ জানান।
উল্লেখ্য, আয়োজন ও ব্যাপ্তিকালের দিক থেকে ‘ফেরিয়া দে মাদ্রিদ’ “ফিতুর” হচ্ছে স্পেনের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা। এ মেলাকে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি শিল্প মেলার একটি বলে মনে করা হয়। ১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর মাদ্রিদে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক এই পর্যটন মেলায় এর আগেও বাংলাদেশ ২০১২, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে অংশ নিয়েছিল।