ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া অসম্ভব দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘এই কমিশনের অধীনে ঢাকা শহরে মাত্র শতকরা পাঁচ ভাগ মানুষ ভোট দিতে যায়। তার মানে ভোটপ্রক্রিয়া, ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন- এই প্রক্রিয়াগুলোর ওপর মানুষ বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। মানুষ গণতন্ত্র সম্পর্কে হতাশ হয়ে যাচ্ছে- এটা হতে দেওয়া যাবে না।’
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলে স্বেচ্ছাচারী হয়ে যায়। যার প্রমাণ আমরা দেখলাম কক্সবাজারে মেজর সিনহার ঘটনা এবং কয়েক দিন আগে আমরা দেখলাম একজন নৌবাহিনীর কর্মকর্তার ঘটনায়। এই যে স্বেচ্ছাচারী মনোভাব, এই মনোভাব দূর হওয়া কিংবা তাদের দুর্নীতি, অন্যায়-অনাচার থেকে বের হওয়ার একটাই পথ আর সেটা হলো জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতামূলক একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আর সেটা সম্ভব শুধুই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে। আর তার জন্য প্রয়োজন ক্ষমতায় একটি নিরপেক্ষ সরকার থাকা ও যোগ্য নির্বাচন কমিশন থাকা।’
তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের দাবি, নিরপেক্ষ একটি সরকারের অধীনে এবং একটি যোগ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে যাদের নির্বাচিত করবে, তারা রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। তাদের যেহেতু জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে, জনগণকে জবাবদিহিতা করতে হবে, সেহেতু সেই দলের কোনো মন্ত্রী কিংবা এমপি বা সেই দলের কোনো নেতা দুর্নীতিবাজ কিংবা স্বেচ্ছাচারী হতে পারবে না।’
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সমন্বিত ফসল গণতন্ত্রকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। আর সেই রক্ষা করার লক্ষ্যে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, জাতীয়তাবাদী যুবদল অতীতের মতো এই লড়াইয়ে এবারও সামনের সারিতে থাকবে।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদসহ ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।