করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছে প্রবাসীরা। সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে আবারও বিপুল পরিমাণ টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই মাসে তারা ১৯১ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন, যা টাকার হিসাবে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা।বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত রেমিট্যান্সের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৮৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার । রেমিট্যান্সের প্রবাহ চাঙা থাকায় ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ৪৩.০৯ বিলিয়ন বা চার হাজার ৩০৯ কোটি ডলারে বেশি।
সদ্য বিদায়ী মার্চ মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৪ কোটি ১৩ লাখ ডলার আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৪৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে এক কোটি মার্কিন ডলার এবং একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে তিন কোটি ২৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের প্রবাসী আয় পাঠানোর নিয়ামকানুন সহজ করে দেওয়া, সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সংস্কারমুখী পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। আমাদের এ অর্জন দিন দিন বেড়েই চলেছে, আমাদের প্রত্যাশা এটি আরো বাড়বে। এ বিষয়ে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। কাউকে হয়রানি করা হয়না, সময়মত এর উপকারভোগীর হাতে পৌছে যায়- যার কারণে এটি দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং বাড়তেই থাকবে।