মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে মমতার পদত্যাগ

বিধানসভা নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জিতেছে মমতা ব্যানার্জীর তৃণমূণ কংগ্রেস। এই জয়ের মধ্যদিয়ে তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব নেবেন মমতা। তার আগে ছাড়লেন দ্বিতীয় মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রীর পদ। সোমবার (৩ মে) সন্ধ্যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।ভারতের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বুধবার (৫ মে) মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মমতা ব্যানার্জী। আর এই শপথগ্রহণের দিন ঠিক হওয়ার পর সোমবার রাজভবনে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা বৈঠক করেন মমতা ব্যানার্জী। এরপর তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।তবে নতুন সরকার দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা ব্যানার্জীকেই রাজ্যের দায়িত্ব পালনের জন্য বলেন রাজ্যপাল। পরে রাজ্যপাল টুইট বার্তায় জানান, ‘বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় মমতা ব্যানার্জী রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। তবে করোনার কারণে এবার শপথ অনুষ্ঠানে জনসমাগম হবে না।’

এদিকে সোমবার সন্ধ্যা থেকেই পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রত্যাহার করেছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ সোমবার থেকেই আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব ফিরেছে রাজ্যের হাতে। এর মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোট পরবর্তী সহিংসতার খবর পাওয়া যায়। এ অবস্থায় রাজ্যের হাতে ক্ষমতা ফেরানো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের ধারণা সহিংসতার দায় বিরোধীরা রাজ্যের ওপর চাপাবে।এর আগে ভোটের ফল প্রকাশের দিন মমতা ব্যানার্জী জানিয়েছিলেন, দলের সঙ্গে আলোচনা করে শপথ গ্রহণের দিন ঠিক করবেন। সোমবার তৃণমূল ভবনে নির্বাচিত দলীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন তিনি। এরপরই দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৫ মে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেবেন তিনি। পরে বিধায়কদের স্বাক্ষর করা চিঠি নিয়ে রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। প্রথা অনুযায়ী রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানান এবং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন।এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ২৯২ আসনের মধ্যে ২১৩টি আসনে জিতেছে তৃণমূল। বিজেপি জয় পেয়েছে ৭৭টিতে। যদিও গুরুত্বপূর্ণ আসন নন্দীগ্রামে জিততে পারেননি মমতা। তবে পরাজিত হলেও সংবিধান অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রয়েছে মমতা ব্যানার্জীর।

Advertisement