ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, লেখক মুশতাককে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের খোঁজ কি পাওয়া যায়নি? পাওয়া গেছে। তার হত্যাকারী হলো সরকার ও তার আইন শৃঙ্খলা-বাহিনী। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হইলো সরকারি বাহিনীর একটি অধ্যাদেশ। এই সিকিউরিটি আইনের সাথে যারা জড়িত তারা প্রত্যেকে এই হত্যার সাথে জড়িত।
আজ শুক্রবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে লেখক মুশতাক আহমেদের গায়েবানা জানাজা পূর্ববর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যা যেমন মর্মান্তিক, আমি মনে করি মুশতাকের হত্যাও তেমনি একই ধরনের মর্মান্তিক। শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করলেই হবে না, এই হত্যার জন্য যারা দায়ী এমনকি যদি আপনারও দায় থাকে, তাহলে আপনাকেও দায় নিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে জনগণের কাছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নাগরিকের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি বেঁচে থাকতে চান, তাহলে এই আইনকে কবর দিয়ে দেন। আমি যদি আপনার বিরুদ্ধে মানহানিকর কিছু বলি তাহলে আপনাকেই মানহানির মামলা করতে হবে, কোনো পুলিশ কনস্টেবলকে দিয়ে নয়। ডিজিটাল অ্যাক্ট দিয়ে কোনো সরকার টিকে থাকতে পারে না।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, তানজিম উদ্দিন খান, রুশাদ ফরিদী, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারাসহ সাধারণ নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।