ব্রিট বাংলা ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার দোর্দণ্ড প্রতাপশালী নেতা কিম জং উনের মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন চাউর হয়েছে। একাধিক মিডিয়া সেই সংবাদ ছেপেছে। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে– এই গুজবের মধ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
দেশটির প্রধান সংবাদমাধ্যম রোডং সিনমুন সেই শুভেচ্ছা বার্তা ছেপেছে। দ্য কোরিয়া হেরাল্ডও একই খবর দিয়েছে।
পত্রিকা দুটি লিখেছে– পর্যটন এলাকায় যাতায়াতকারীদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা। ওনসান-কালমা পর্যটন অঞ্চলে যারা কাজে নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুপ্রিম লিডার কিম জং উন।
কিমকে নিয়ে প্রথম আলোচনা শুরু হয় গত ১৫ এপ্রিল। তার দাদা ও দেশটির প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুংয়ের জন্মদিনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যায়নি। তার এ অনুপস্থিতি নিয়ে শুরু হয় জোর গুঞ্জন।
এর পর উত্তর কোরিয়ার পক্ষ ত্যাগকারীদের মিডিয়া অনলাইন ডেইলি এনকের খবরে বলা হয়, হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচারের পর নর্থ পিয়ংগাও প্রদেশে কিমের চিকিৎসা চলছে।
দুদিন আগে হংকংয়ের একটি টেলিভিশনে আবার কিমের মৃত্যুর খবর আসে। একই সঙ্গে রয়টার্স জানায়, কিমের চিকিৎসার জন্য চীন থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠানো হয়েছে। যদিও চীন সেটি স্বীকার করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়াগুলোতেও কিমের মৃত্যুর শঙ্কা নিয়ে সংবাদ ছাপা হয়। তবে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে জোরালোভাবে বলা হচ্ছে– কিম বেঁচে আছেন।
৩৬ বছর বয়সী কিম প্রচুর ধূমপান করেন। তার পরিবারে হার্টের সমস্যার ইতিহাস আছে। তার আবার এমন উধাও হয়ে যাওয়ারও ইতিহাস আছে। এর আগে ২০১৪ সালে প্রায় এক মাস কোনো খবর ছিল না। হঠাৎ একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি সৈকতে হাঁটছেন।
এবার তার খবর না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া শুরু থেকে দাবি করে, কোনো গোপন কাজ সামলাতে কিম কৌশলগত কারণে প্রকাশ্যে আসছেন না।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের বিদেশ নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা চুং-ইন মুন রোববার ফক্স নিউজকে বলেন, আমরা নিশ্চিত কিম জং উন বেঁচে আছেন এবং ভালো আছেন। তিনি ১৩ এপ্রিল থেকে ওনসান এলাকায় অবস্থান করছেন। সন্দেহজনক কোনো আচরণ এখনও বোঝা যায়নি।