ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। জিতিয়েছেন সম্ভাব্য সব কিছুই। চ্যাম্পিয়নস লীগের গত আসরে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোল হারের পর গত আগস্টে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। চুক্তির মারপ্যাঁচে ফেলে মেসিকে আটকে রাখে বার্সেলোনা। দুই পক্ষের টানাপোড়ন শেষ হয়ে মেসির সিদ্ধান্ত বদলে। ক্লাব ছাড়ার বিষয়ে মেসির সিদ্ধান্তকে বার্সেলোনা সম্মান করেনি বলে মনে করেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা।
বার্সেলোনায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার দিন সভাপতি হোসেপ মারিয়া বার্তোমেউকে ধুয়ে দেন মেসি। কিছুদিন আগে পদত্যাগ করেছেন বার্তোমেউসহ পরিচালনা পরিষদের বাকি সদস্যরা। আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতানোর নায়ক ম্যারাডোনা শুক্রবার কেটেছেন ৬০তম জন্মদিনের কেক।
জন্মদিন উপলক্ষে আর্জেন্টিনার একটি সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে ম্যারাডোনা কথা বলেছেন মেসি-বার্সেলোনার টানাপোড়ন নিয়ে। জানিয়েছেন বার্সেলোনায় দুই মৌসুম কাটানোর অভিজ্ঞতাও। ম্যারাডোনা বলেন, ‘আমি জানতাম এটার শেষটা সুখকর হবে না। ভেবেছিলাম লিও (মেসি) চলে যাবে। বার্সেলোনা সহজ কোনো ক্লাব নয়। লিও অনেকদিন সেখানে আছে। তাকে প্রাপ্য সম্মান দেখায়নি বার্সেলোনা। ক্লাবটিকে সে সবকিছু দিয়েছে। সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। যখন ক্লাব ছাড়তে চাইলো, তারা বাধা দিল।’
ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় ম্যারাডোনা। সাধারণ একটি দল নিয়ে নাপোলিকে জিতিয়েছেন সম্ভাব্য সবকিছুই। একসময় নাপোলি ছাড়তে চেয়েছিলেন ম্যারাডোনা। মেসির মত একইভাবে ম্যারাডোনাকে আটকে রাখে নাপোলি। সেই ঘটনা স্মরণ করেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি, ‘অলিম্পিক মার্শেই দ্বিগুণ বেতনের প্রস্তাব করেছিল। নাপোলি সভাপতিকে ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারে নিজের ইচ্ছের কথা জানালাম। উনি আমাকে বললেন, ইউরোপ সেরা করতে পারলে তুমি ক্লাব ছাড়তে পার। নাপোলিকে ইউরোপ সেরার ট্রফি এনে দিলাম। ক্লাব ছাড়ার সময় নাপোলি সভাপতি আমাকে বাধা দেন।’