ব্রিটবাংলা রিপোর্ট: সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার অনেক ওয়ার্ডের বস্তি বা কলোনীর সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষদের সহযোগিতার বিষয়টি আমলে নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য আহ্বান জানিয়ে খোলা চিঠি পোষ্ট করছেন কাউন্সিলার ফরহাদ চৌধুরী শামীম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা এইপোষ্ট সচেতন মহল মনে করছেন এটি একটি সময় উপযোগী আহ্বান।এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দের সিদ্ধান্ত গ্রহনে আন্তরিক হওয়া জরুরী।
খোলা চিঠি
বরাবর মেয়র
সিলেট সিটি কর্পোরেশন সিলেট।
বিষয় হতদরিদ্র বস্তিবাসীর পাশে দাঁড়ানোর আকুল আহবান।
জনাব ইতিমধ্যে সমগ্র বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস(কোভিড-১৯)নামক মরণব্যধী ভাইরাসে সমগ্র বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনযাত্রা থমকে দিয়েছে।কয়েক হাজার মানুষ অকালে প্রান হারিয়েছে এই মরন ব্যাধী ভাইরাস সংক্রমণের কারণে।আমাদের দেশের সরকার ইতিমধ্যে এই মরণব্যাধী ভাইরাসের হাত থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য সমস্ত সরকারী বেসরকারী অফিস আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমন কি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে এবং জনগণকে তাঁদের নিজ নিজ বাসা বাড়িতে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। নিম্ন আয়ের বস্তিবাসীদের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না,তাদের ঘরের চুলায় আগুন নিভুনিভু করছে,সাধারণ মানুষের প্রশ্ন হচ্ছে সরকার কি শুধু আমাদের দায়িত্ব পালন করবে?আমাদের দেখভালের দায়িত্ব কি আপনাদের উপরে বর্তায় না! আমাদের ভোটে কি আপনারা নির্বাচিত হন-নি!সরকারের হাজার কোটি টাকা অনুদান কি শুধু রাস্তা ও ভূমি অধিগ্রহণের নামে লুটপাট হবে,আমাদের জীবন বাঁচানোর জন্য আপনাদের একটুখানি সহানুভূতি কি আমরা পেতে পারিনা।আমরা যতটুকু জানি-অন্ন-বস্তু-শিক্ষা-চিকিৎসা-বাসস্থান মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পরে।আপনারা আমাদের সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিবৃন্দ এই দুর্যোগময় সময়ে একমুঠো অন্ন দিয়ে আমাদের বস্তিবাসীদের মুখে হাসি ফোটাতে পারেন না?
বিঃদ্রঃ জনাব মেয়র মহোদয় ক্ষমা করে দিবেন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন আসতে পারে আমি পরিষদের একজন সদস্য হয়ে সোসাল মিডিয়ার কেনই বা লিখতে গেলাম।আপনার মুঠোফোন আমার মতো হতভাগা জনপ্রতিনিধির কথার সাড়া দেন-না।
ইতি-বস্তিবাসীর পক্ষে
কাউন্সিলর
ফরহাদ চৌধুরী শামীম