মোহাম্মদ নাসিমের অভাব প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম অনুভব করবে : আব্দুর রহমান

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, মোহাম্মদ নাসিম আজীবন দল ও মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি যেমন সফল রাজনীতিবিদ ছিলেন তেমনি আপাদমস্তক একজন মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। তার অভাব প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম অনুভব করবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সিরাজগঞ্জ পেশাজীবী পরিষদ ‘আমাদের অস্তিত্বে ও মননে মরহুম মোহাম্মদ নাসিম’ শীর্ষক এই স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। আব্দুর রহমান বলেন, মোহাম্মদ নাসিম পদের নয়, জনগণের নেতা ছিলেন। তিনি যখন যে দায়িত্ব পেয়েছেন সেখানেই সফলতা দেখিয়েছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দেওয়া দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন।

তিনি বলেন, মোহাম্মদ নাসিম আজীবন দল ও মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি যেমন সফল রাজনীতিবিদ ছিলেন তেমন আপাদমস্তক একজন মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। তার অভাব প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম অনুভব হবে। মন্ত্রী থাকাকালীন হাজার হাজার নেতাকর্মীরা তার সাথে দেখা করতে আসতেন। সবার সমস্যা সমাধানে তিনি চেষ্টা করতেন।সভার মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেন, আমার বাবা সিরাজগঞ্জের প্রতিটি মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছিলেন। তাদের সাহস, আস্থা ও ভালবাসার মানুষ ছিলেন তিনি। তিনি মন্ত্রী-এমপি নয় সকল নেতাকর্মীদের প্রিয় নাসিম ভাই হিসেবে বেঁচে ছিলেন। তিনি নেতাকর্মীদের সকল ন্যায্য কাজ ও সহযোগিতায় সব সময় এগিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণের ভয়াবহ মূহুর্তেও তাকে ঘরে রাখা যায়নি। লকডাউনের মধ্যেও তিনি তার মানুষের জন্য ছুটে গেছেন। আর সেই মহামারির সংক্রমণেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের কল্যাণে জননেতা মোহাম্মদ নাসিমের অবদান অনেক। স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে যে কাজ করেছেন তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। মোহাম্মদ নাসিম তার কাজের মাধ্যমে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, হেপাটোবিলিয়ারি, পেনক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মোহছেন চৌধুরী, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Advertisement