ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ফের বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফিক্সিংয়ের কালো থাবা। এবার অবশ্য ফিক্সিংয়ে জড়াননি ক্রিকেটার। তবে এর প্রস্তাব পেয়েও আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে (আকসু) অবগত করেননি সাকিব আল হাসান। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৮ মাস নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক একটি ম্যাচে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান সাকিব। কিন্তু সেটি আকসুকে জানাননি তিনি। এছাড়া আইপিএল ও বিপিএলের দুটি ম্যাচ নিয়েও তদন্ত চলছে।
তবে সাকিবের শাস্তির মাত্রা কমতে পারে। তার সঙ্গে জুয়াড়ির টেলিফোন রেকর্ড রয়েছে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের কাছে। শোনা যাচ্ছে, তাতে গুরুতর অপরাধমূলক কোনো আলাপ করেননি অন্যতম বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তার শাস্তির ক্ষেত্রে এসব কিছু বিবেচনায় নেয়া হবে।
অধিকন্তু এ নিয়ে সাকিবের সঙ্গে আলোচনা করবে আকসু। সেই জুয়াড়ির সন্ধান প্রয়োজন। সবকিছু একসুতোয় আনার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। শেষ পর্যন্ত সাকিবের অপরাধের পাল্লা ভারি হলে নিষিদ্ধ হবেন তিনি। অন্যথায় নয়।
চাউর হয়েছে, আইসিসির প্রতিনিধি ও দুর্নীতি দমন বিভাগের সঙ্গে কথা বলতেই ভারত সফরে যেতে চাচ্ছেন না সাকিব। তিনি বিষয়টির সুরাহা করতে চাচ্ছেন।
আগামীকাল বুধবার ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। সফরে ৩টি টি-টোয়েন্টি ও ২টি টেস্ট খেলবেন টাইগাররা। ৩ নভেম্বর দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে সিরিজ।
এ সফর সামনে রেখে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। অনুশীলন ছাড়াও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন তারা। তবে অংশগ্রহণ করেননি সাকিব। সর্বোপরি, তাকে নিয়ে বিষোদগার করে যাচ্ছেন বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন। ধর্মঘটের সময় গ্রামীণফোনের সঙ্গে চুক্তি করায় তার ওপর বিরক্ত তিনি।
আবার আইসিসিও বেঁকে বসতে পারে। তারা চাইলে দেশসেরা ক্রিকেটারকে দেশেই থাকতে হবে। ফলে বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ভারত সফর একরকম অনিশ্চিত।
নিয়ম হচ্ছে, বাজিকররা কোনো ক্রিকেটারকে ম্যাচ পাতানোর অফার করলে সেটা আকসুকে জানাতে হয়। এটা গোপন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
নিষেধাজ্ঞা পেয়ে গেলে সাকিব অবশ্য লড়াই করতে পারবেন। বিসিবিও তার পক্ষে রয়েছে। শাস্তি কমানোর আবেদন করতে পারবেন তিনি। বুকিরা নিয়মিত এমন লোভের জাল বিছিয়ে থাকেন। এবার তাতে পা না দিয়েও ফাঁদে পড়ে যাচ্ছেন সাকিব। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মূহুর্তে তার না থাকাটা ক্ষতি হতে পারে।