যথাযোগ্য মর্যাদায় বৃটেনের কার্ডিফ বাংলা স্কুলে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর  আনন্দঘন পরিবেশে ও  যথাযোগ্য মর্যাদায় বৃটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফের শাহ্‌জালাল বাংলা স্কুলের উদ্দ্যোগে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে স্কুল  সেন্টারে  গত ১৬ ডিসেম্বর রোববার  সকাল ১১ ঘটিকায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

স্কুল পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ আলী আকবর এর সভাপতিত্বে এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্টানের শুরুতেই বাংলা স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা সহ বিজয় দিবসের ওপর কবিতা পাঠ ও আলোচনায় অংশ নিয়ে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তুলেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ফাইমা বেগম, শিক্ষিকা হানিয়া জাহান চৌধুরী ও শিক্ষিকা রুজি সিদ্দীকার সাবিক ব্যাস্থাপনায় আয়োজিত এই সফল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আক্তারুজ্জামান কুরেশী নিপু, শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার,এস এ খান লেনিন, এম এ মান্নান, কয়সর আলী ,আনকার মিয়া, আব্দুল মুমিন,আব্দুল মোত্তালিব, বেলাল আহমদ ও মিজানুর রহমান প্রমুখ ৷

পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন স্কুলের ছাত্র আদিব আলী কবিতা আবৃত্তিতে অংশ নেন সাফা,তামিম,আমরিন আমিনা শাকিল ,জুমানা ইয়াসিন, সামিরা,রাউফ, সালমান,জেইনা, আমিরা, আবিদা,জুনায়েদ,জাহিন,জুমাইয়া, তানিশা, ছাফা তামজিদ,ও আদিল সহ স্কুলের অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ।সভায় বক্তারা,শাহজালাল বাংলা স্কুলের পক্ষ থেকে মহান বিজয় দিবস অত্যন্ত সফলতার সাথে পালন করার জন্য ম্যানেজমেন্ট কমিটির  সবাইকে বিশেষ করে স্কুলের সেক্রেটারি ও শিক্ষিকা বৃন্দ এবং  সকল ছাত্র-ছাত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে  সবার নিরবিচ্ছিন্ন সহযোগীতায় প্রিয় মাতৃভাষা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মতর বেঁচে থাকুক এই  কামনা সহ সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানান।  স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সেক্রেটারী মোহাম্মদ মকিস মনসুর ও  সভার সভাপতি আলহাজ্ব  আলী আকবর  সমাপনী বক্তব্যে,নব প্রজন্মের  সন্তানদের  হাতে  মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার লক্ষে  সবাইকে  এক যুগে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন  আমাদের দেশপ্রেমের অনুভূতি, চিন্তা-চেতনা ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। এ উন্নয়নে প্রবাসীদেরও ভূমিকা রয়েছে।

বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যাতে বজায় থাকে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। প্রবাসীদের প্রত্যেককেই এক একজন ‘রাষ্ট্রদূত’ হিসেবে ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের উচিৎ  নব প্রজন্মের  সন্তানদের  হাতে  মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার লক্ষে  এক যুগে কাজ করা। আমাদের নব  প্রজন্মের  সন্তানদের বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও অজন এবং বাংলাভাষা সম্মন্দে সম্মক ধারনা প্রদানের লক্ষে  আরও জোরালো ভুমিকা রাখতে হবে।

বংশের ধারায় আমাদের সন্তানরাও যেনো  মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সারাজীবন মানুষের সেবায় আত্মোৎসর্গ করতে পারে।  প্রজন্ম যাতে  কখনোই বিভ্রান্ত  না হয় সে জন্য মুক্তিযুদ্ধের  ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে হবে  আমাদের  প্রজন্ম থেকে  প্রজন্মে ৷

Advertisement