যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আসট্রোজেনকা টিকা পাওয়ার চেষ্টা করছে সরকার, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও সুখবর দিতে পারছে না ওয়াশিংটন। সরকার তাদের কাছে এক থেকে দুই কোটি টিকা চেয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (৬ মে) এক বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনকে টিকা আনার জন্য মার্কিন দূতাবাস কী করছে সে সম্পর্কে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার।আর্ল মিলারের সঙ্গে বৈঠকের পরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমাকে বলে গেলেন, যুক্তরাষ্ট্র মিশন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে। আমি রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, ভ্যাকসিন আমাদের অগ্রাধিকার এবং যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে দেবে তখন যেন বাংলাদেশের কথা খেয়াল রাখে। এর জবাবে তিনি জানান, দিনক্ষণ বলতে পারবো না, তবে টিকার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
কত ডোজ টিকা চেয়েছেন বাংলাদেশ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবিলম্বে প্রয়োজন ৪০ লাখ। তবে আমি তাদের কাছে এক কোটি থেকে দুই কোটি টিকা চেয়েছি। তারা কতটা দেবে সেটি জানি না, তবে চাইতে তো অসুবিধা নেই। আমরা যে চিঠিটা দিয়েছি তাতে ৪০ লাখ চেয়েছি। এর কারণ হচ্ছে– যারা ইতোমধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন, দ্বিতীয় ডোজ নেবেন, সেই প্রক্রিয়াটি চলমান রাখার জন্য।যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাঙালিদের উদ্যোগ নিতে বলেছি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রদূত সব সময় বৈঠক করছেন। এখানে মার্কিন দূতাবাস সিনসিয়ারলি কাজ করছে।রাশিয়া থেকে টিকা আসার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কবে টিকা আসবে, কতটুকু আসবে সেটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে থাকে।’ এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়া একটি প্রস্তাব দিয়েছে এবং এর উপর ভিত্তি করে তারা ভ্যাকসিন দেবে বা যৌথ উৎপাদনে যাবে। এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেখছে। আমাদের প্রস্তাব পাঠানোর পর আমরা দর কষাকষি করবো।ভারত থেকে টিকা আনার বিষয়ে মন্ত্রী জানান, ‘আমরা ভারতকে চিঠি দিয়েছি। আমি নিজে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি, পুরোটা না দিতে পারলেও অবিলম্বে ৩০ লাখ ডোজ দেওয়ার জন্য। এর কোনও উত্তরও পাইনি।’