ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: মালয়েশিয়ার ওপর বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছে ভারত সরকার। এতোটাই ক্ষুব্ধ যে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক হ্রাস বরতে চায় নয়াদিল্লি।
এমনকি প্রয়োজনে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও ভাবছে মোদি সরকার। খবর ইকোনমিক টাইমসে।
মালয়েশিয়ার ওপর ভারতের এ ক্ষোভ জমার কারণ হিসেবে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেয়া ভারতের ইসলামি বক্তা ড. জাকির নায়েককে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রসঙ্গে নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের পারদ চরমে উঠেছে।
এমন পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের নেয়া কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের চরম বিরোধিতা করে মালয়েশিয়া।
গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের এ সিদ্ধান্তে প্রবল আপত্তি জানায় মাহাথির মোহাম্মদ। আর তাতে ক্ষুব্ধ হন নরেন্দ্র মোদি।
জাকির নায়েক ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে চলা সম্পর্কের টানপোড়নের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে মালয়েশিয়ার ভারত বিরোধী অবস্থান সেই টানপোড়নের আগুনে ঘি ঢালল। মালয়েশিয়াকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে চায় ভারত।
ইতিমধ্যে তার প্রতিফলনও দেখিয়েছে নয়াদিল্লি। মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক হ্রাস করতে চাইছে ভারত।
ভারতের সঙ্গে মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় যে বাণিজ্য রয়েছে সেটি হলো পাম তেল বিক্রির। পাম তেল উৎপাদনে বিশ্বের প্রথম সারির দেশ মালয়েশিয়া। তার পাম তেলের সবচেয়ে বড় চালানটি ভারতে পাঠায় মালয়েশিয়া।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত দেশটি থেকে ২০০ কোটি ডলার মূল্যের প্রায় ৪০ লাখ টন পাম তেল আমদানি করেছে।
এবার মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল আমদানির পরিমাণ কমিয়ে দেয়ার কথা ভাবছে ভারত।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, মালয়েশিয়াকে বাদ দিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম তেল আমদানি করার চিন্তা করছে মোদি সরকার।
গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মালয়েশিয়ায় রফতানির তুলনায় দেশটি থেকে আমদানি বেশি করে ভারত। ভারত-মালয়েশিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারতের ঘাটতি ছিল ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার।
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে না থেকে পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলায় এবার এই বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করতে চাইছে নয়াদিল্লি।