ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় মিয়ানমারের প্রতি অন্তবর্তী আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য সবধরনের ব্যবস্থা নিতে মিয়ানমারকে বলা হয়েছে। আদেশে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কিংবা অন্য যেকোন নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যেন কোনো গণহত্যায় না জড়ায়, উস্কানি না দেয় কিংবা নির্যাতন না করে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে মিয়ানমারকে বলা হয়েছে।
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এ আদেশ দেয়। আদালত এটা স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়েছে যে, এ রায় মানতে মিয়ানমার বাধ্য। সর্বসম্মত আদেশে আদালত বলেছেন, অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা বাস্তবায়নের ব্যাপারে চার মাসের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করতে হবে মিয়ানমারকে। চূড়ান্ত রায় না দেয়া পর্যন্ত ছয় মাস অন্তর অন্তর রিপোর্ট দিতে হবে দেশটিকে।
দৃশ্যত গত মাসে আদালতে দেয়া মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে আদেশে। এটা বলা হয়েছে, গাম্বিয়ার অধিকার আছে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করার।
আদালত আরো বলেছেন, মিয়ানমারে থাকা আনুমানিক ৬ লাখ রোহিঙ্গা সামরিক বাহিনীর হাতে ‘চরম মাত্রায় সহিংসতার’ ঝুঁকিতে আছে। প্রাথমিকভাবে গাম্বিয়ার অভিযোগের প্রমাণ পেলেও আদালত বলেছেন, অন্তবর্তীকালীন আদেশ চূড়ান্ত রায়কে প্রভাবিত করবে না।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর হামলা চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণ করা হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় তাদের বাড়িতে। আক্রমণের মুখে প্রায় সাতে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এই নৃশংসতাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে গত বছরের ১১ নভেম্বর আইসিজিতে মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। নেদারল্যান্সসের দ্য হেগের পিস প্যালেসে গত বছরের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর মামলার শুনানি চলে। মামলায় গাম্বিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন দেশটির বিচারমন্ত্রী আবু বাকার তাম্বাদু। মিয়ানমারের নেতৃত্ব দেন অং সান সুচি।