অবশেষে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এই ঘোষণার পাশাপাশি ১০ রুশ কূটনীতিককেও বহিষ্কার করেছে দেশটি। মার্কিন নির্বাচনে ক্রেমলিনের হস্তক্ষেপ, ব্যাপক সাইবার হামলা ও অন্যান্য প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। আলজাজিরা, বিবিসি।হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ সরকারের ঋণ লেনদেনকারী মার্কিন ব্যাংকগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১০ কূটনীতিককে বহিষ্কার ও ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের দায়ে ৩২ জন রুশ নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাইডেনের নির্বাহী আদেশ ‘একটি সংকেত পাঠায় যে, আমেরিকা রাশিয়ার ওপর কৌশলগত ও অর্থনৈতিক ব্যয় চাপিয়ে দেবে যদি তারা অস্থিতিশীল আন্তর্জাতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখে বা বৃদ্ধি করে।’
‘যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের মুক্ত ও অবাধ গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে খর্ব করতে মস্কোর ক্রিয়াকলাপ’ এই নিষেধাজ্ঞার প্রথম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। বিবৃতিতে বলা হয় ‘রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ২০১৬ ও ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় নিয়মিতভাবে ভুল তথ্য এবং নোংরা কৌশল প্রচার করেছিল।’এতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের বিরুদ্ধে যে ক্ষতিকর সাইবার কার্যক্রম চালানো হয়েছে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবেও এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন বাইডেন। গত মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সে সময় তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ়ভাবে কাজ করবে তার দেশ।তৃতীয় কোনো দেশে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার প্রস্তাবও দিয়েছেন বাইডেন। এর মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে একসঙ্গে কাজ করার পরিবেশ তৈরি হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি ।এদিকে এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা ভ্লাদিমির পুতিন ও জো বাইডেনের বৈঠক সফল করতে সহায়তা করবে না।