রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের কাছে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গভবনে নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি।এ সময়ে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং এই চমৎকার সম্পর্কের গণ্ডি পেরিয়ে এটি এখন কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি ব্যবসা ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে।রোহিঙ্গা ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও তাদের জনগণের সমর্থন-সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি হামিদ আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে নিজ দেশের সসম্মানে ফিরে যেতে পারেন সেজন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান আবদুল হামিদ।তিনি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ভেকসিন প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুষ্ঠু পরিবেশ বিদ্যমান থাকায় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে রাষ্ট্রপতি হামিদ বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রদূতদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।এর আগে রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকষ অশ্বারোহী দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। সেনাবাহিনীর ব্যান্ডের দ্বারা সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় সঙ্গীতও বাজানো হয় এবং রাষ্ট্রদূত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন।এরপরে, মালদ্বীপের নব নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ রাষ্ট্রপতি হামিদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নে আরো সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করার জন্য হাইকমিশনারকে পরামর্শ দেন তিনি।রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।