ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানে দৃঢ় ভূমিকার জন্য রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়া রুশ সেনা সদস্যদের ‘বীর’ উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ‘দোনেতস্ক ও লুহানস্কের জনগণকে রক্ষা করতে পরিচালিত এই বিশেষ অভিযানে যারা বীরের মতো লড়াই করে যাচ্ছেন, তাদেরকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’দীর্ঘ দুই মাস ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির পূর্বাঞ্চলে সেনা অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। তার ভাষণ সম্প্রচারের পরপরই রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় এবং তড়িৎগতিতে ইউক্রেনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পাশপাশি দেশটির চতুর্দিক থেকে দেশটির ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী।
রুশ সৈন্যদের তীব্র আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের রাস্তায় রাস্তায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ দক্ষিণাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর নোভা কাহোভকাসহ ৪ শহরের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।সমর বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ দিক থেকে অগ্রসর হওয়া রুশ সেনারা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে; যে কারণে নোভা কাহোভকার পর খেরসন, মাইকোলাইভ ও মেলিতোপোলও পতনের মুখে রয়েছে।এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, কিয়েভের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত মস্কো এবং এ জন্য বেলারুশের গোমেল শহরে ইতোমধ্যে মস্কোর প্রতিনিধিরা পৌঁছেছেন।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন, তবে শর্ত দিয়েছেন— বেলারুশে নয়,বৈঠক হতে হবে পোল্যান্ডে।