আমরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসী নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা গভীর উদ্যোগের সাথে লক্ষ্য করছি,বাংলাদেশের ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পূর্তির এই সময় দেশের সমাজ ও রাজনীতিতে কতিপয় অসাধু মানুষ ও দুর্নীতিবাজদের কারণে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল চেতনা ভুলন্ঠিত হচ্ছে।সম্প্রতি গত ১৭ মে সচিবালয়ে সাংবাদিকের কর্তব্য পালন করতে গিয়ে প্রথম আলোর বিশিষ্ট সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে প্রায় ৫ ঘণ্টা হেনস্তার পর থানায় সোপর্দ করা হয়। তারপর তার বিরদ্ধে মামলা দায়ের করে সারা রাত থানায় রেখে তাক আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। তার রিমান্ডের আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়া সত্বেও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনা প্রশাসনের ভিতরে থাকা কিছু দুর্নীতিবাজ আমলা যে কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারই বহিঃপ্রকাশ।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন,ক্ষুব্ধ ও বিস্মিত। স্বাধীন ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতি এই আক্রোশ থামাতে হবে।সীমাহীন চুরি বাটাপারি ঠেকাতে,বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।আমরা মনে করি বাংলাদেশের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।নইলে ৫০ বছর আগে,অনেক ত্যাগ ও মহান মক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার অবমূল্যায়ন করা হবে। স্বাধীন বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা ও সাংবাদিকতা সংকীর্ণ ও সংকুচিত হয়ে পড়বে।আমরা অবিলম্বে নির্ভীক সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির পাশাপাশি পুরো ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানাচ্ছি।জার্মানি থেকে আবদুল্লাহ আল ফারুক,ড.সত্য ভৌমিক,মাহজাবিন আহমেদ,হাসিব মাহমুদ,শাহীন দিল রিয়াজ,সরাফ আহমেদ,হাবিব বাবুল,মোনাজ হক,সেলিম ভুইয়া।বেলজিয়াম থেকে ড.জিয়া উদ্দিন আহমেদ,সোহেল পারভেজ। ডেনমার্ক থেকে রুহুল কাজল। সুইডেন থেকে দেলোয়ার হোসেন,সালেহ মুস্তফা জামিল,আকতার এম জামান। ফিনল্যান্ড থেকে ড.মজিবুর দফতরী। হল্যান্ড থেকে বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া,ডেভিড রহমান,মুরাদ খান।অষ্ট্রিয়া থেকে ড. শহীদ হোসেন। সুইজারল্যান্ড থেকে মারুফ আনোয়ার,যুক্তরাজ্য থেকে জুয়েল রাজ,আনসার আহমেদ উল্লাহ,এ টি এম মুনির,আ স ম মাসুম। ফ্রান্স থেকে মারজান প্রধান,কাজী ওসমান,শরীফ ভুইয়া,এম এ হাশেম। ইটালী থেকে নাজির মোহাম্মদ খান।