রোহিঙ্গা ইস্যু : সুকিকে সতর্ক করলেন বৃটিশ ফরেন সেক্রেটারী : Rohingya crisis: Johnson warns Suu Kyi over Muslim treatment

ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানের ওপর চলমান নির্যাতন, নীপিড়নের জন্যে নোবেল বিজয়ী অং সান সুচির সমালোচনা করেছেন বৃটিশ ফরেন সেক্রেটারী বরিস জনসন। রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে, পুড়িয়ে তাদের হত্যার ফলে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সুকির দেশ, মিয়ানমারের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে সতর্ক করেন তিনি। একই সঙ্গে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে সুকির নেতৃত্বগুনকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান বৃটিশ ফরেইন সেক্রেটারী। রাখাইনে সরকারী বাহিনীর অকথ্য নির্যাতনে গত এক সপ্তাহে প্রায় ৫৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালাতে বাধ্য হয়েছেন বলে শনিবার জাতিসংঘ এক রিপোর্টে জানিয়েছে। নিহত হয়েছেন প্রায় ১শ বেশি। সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে। যাকে যেখানে পাচ্ছে সেখানে জীবন্ত পুড়িয়ে মারছে। ধর্ষণ, খুন এখন রাখাইন রাজ্যে নিত্য দিনের ঘটনা বলে অভিযোগ করেছেন পালিয়ে আসা রোহিঙ্গান মুসলিমরা। গত এক সপ্তাগে প্রায় ২৬০০ বাড়িঘর পোড়ানো হয়েছে।

এদিকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বৃটিশ ফরেন সেক্রেটারী বরিস জনসনের এই মন্তব্যের পর বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকের ডাইরেক্টর মার্ক ফার্মানার আশা প্রকাশ করে বলেছেন, শুধু অং সান সুকিই নয়, বৃটিশ ফরেন সেক্রেটারীকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধানেরও সমালোচনা করা উচিত। বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকে বার্মায় মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার জন্যে সহযোগিতা করতে ইউকে ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্ছে। এই সংগঠনের ডাইরেক্টর মনে করেন, বার্মার সেনা প্রধানই একমাত্র ব্যক্তি, যার নির্দেশে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যা এবং তাদের বাড়িঘর ধ্বংসের কাজ এক মুহুর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ জন্যে সমালোচনার পাশাপাশি বার্মার সেনা প্রধানের ওপর চার প্রয়োগের জন্যে বৃটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকে।

Rohingya crisis: Johnson warns Suu Kyi over Muslim treatment

Foreign Secretary Boris Johnson has warned Myanmar’s Aung San Suu Kyi that the treatment of the Muslim Rohingya is “besmirching” the country’s reputation.

Mr Johnson called on Ms Suu Kyi, the country’s de facto leader, to “use her remarkable qualities” to end prejudice against Muslims in Rakhine state.

Violence in the province erupted about a week ago, with some 58,000 refugees fleeing to neighbouring Bangladesh.

More than 100 people are thought to have died in the violence.

The Rohingya claim that security forces and Buddhist mobs of burning their villages.

Security officials in Myanmar, also known as Burma, claim they are reacting to more than 20 attacks on police posts by Muslim Rohingya militants.

Rakhine, the poorest region in Myanmar, is home to more than a million Rohingya. They have faced decades of persecution in the Buddhist-majority country, where they are not considered citizens.

Burma Campaign UK – which lobbies European governments in a bid to restore human rights and democracy in Burma – believes the foreign secretary could have gone further in his remarks.

Its director, Mark Farmaner, said Mr Johnson should have also criticised the armed forces’ commander-in-chief, Ming Aung Hlaing.

He said: “Min Aung Hlaing’s soldiers are the ones killing hundreds of Rohingya and he is the only person in Burma with the power to order soldiers to stop attacking Rohingya villagers, shooting children and burning families alive in their homes.”

Advertisement