ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: কক্সবাজারে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা এবং ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে মানবিক সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার পাঁচ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বেশি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। ২০২০ সালের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান এর আওতায় গতকাল জেনেভায় এই ঘোষণা দেয়া হয়। ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার আজ এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত এই মানবিক সহায়তার বিস্তারিত তুলে ধরেন। আমেরিকান সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত বলেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের এই সঙ্কট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালের আগস্টের সহিংসতার পর থেকে মানবিক সহায়তায় এখনও শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। নতুন অঙ্গীকারসহ আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ৮২ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছি। এর মধ্যে ৬৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিভিন্ন কর্মসূচিতে। এই সঙ্কট মোকাবিলায় জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের আওতায় যেসব দেশ সহায়তা দিয়েছে তাদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই সঙ্কটের বিশালমাত্রার প্রয়োজন একা কারও পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্রও এটি পারবে না।
অন্যান্য দেশকেও এখানে অবদান রাখতে হবে। ৯ লাখের বেশি শরনার্থীকে উদারভাবে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্টির মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। তিনি বলেন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে এও জানানো হয়, কেবল মানবিক সহায়তা নয়, এই সঙ্কটের একটি স্থায়ী সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কাজ করছে।