ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ইংল্যান্ডে বেসরকারী মালিকানায় জিপি সার্জারি পরিচালিত হলেও এই প্রথম লন্ডনের ৫৮টি জিপি সার্জারি কিনে নিয়েছে মার্কিন একটি প্রাইভেট কোম্পানী। অন্তত ৫ লাখ রোগি চলে যাবে মার্কিন প্রাইভেট কোম্পানীর অধিনে। বিক্রি হওয়া ৫৮টি জিপির মধ্যে টাওয়ার হ্যামলেটসের দুটি সার্জারি রয়েছে। বারার নির্বাহী মেয়র জন বিগস, হেলথ সেক্রেটারী এবং কেয়ার কোয়ালিশনের কাছে চিঠি লিখে জিপি সার্জারি বিক্রির বিষয়টি পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এটি মেডিকস লন্ডনের ৫৮টি জিপি সার্জারি মার্কিন কোম্পানীর কাছে বিক্রি করেছে। এরমধ্যে টাওয়ার হ্যামলেটস এবং নিউহ্যামের কিছু জিপিও রয়েছে। এ নিয়ে অভ্যন্তরিত দ্বন্দ্বের ফলে এটি মেডিকসের ৬ ডাইরেক্টরও পদত্যাগ করেছেন।
জিপি সার্জারি এনএইচএসের অংশ নয়। কিন্তু এনএইচএসের নিয়ম মেনে নিজস্ব ব্যবসা হিসেবে একজন ডাক্তার বা বেসরকারী কোনো সংস্থা জিপি পরিচালনা করতে পারে। তারা নিজে স্টাফ রাখেন, বেতন দেন। তবে রোগির তালিকা অনুযায়ী জিপিকে অর্থ পরিশোধ করে এনএইচএস। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ইংল্যান্ডে অনেক জিপি পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু মার্কিন মালিকানাধীন প্রাইভেট কোম্পানীর অধিনেই এই প্রথম যাচ্ছে ইংল্যান্ডের জিপি সার্জারি।
২০১৮ সালে ইউকে সফরে এসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে’কে সঙ্গে নিয়ে একটি প্রেস কনফারেন্সে ব্রেক্সিট পরবর্তীতে বাণিজ্য চুক্তিতে প্রয়োজনে এনএইচএসকেও যুক্ত করার কথা বলেছিলেন তৎকালিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে তখন রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়। লেবার পার্টির পক্ষ থেকে এনএইচএসকে প্রাইভেট কোম্পানীতে রূপান্তরিত করার দলিলপত্র হাজির করা হয়েছিল সংবাদ মাধ্যমের সামনে।
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বরিস জনসন দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন, এনএইচএসকে কখনো বিক্রি করা হবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লন্ডনের ৫৮টি জিপি সার্জারি মার্কিন প্রাইভেট কোম্পানির কাছে বিক্রি করা হল। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, করোনা মহামারীতে বর্তমান সরকারের অনেক অনিয়ম হয়েছে। পিপিইসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তির নথিপত্র দেখাতে পারছে না সরকার। এই সময়ের ভেতরে কিংবা আগে গোপনে মার্কিন কোম্পানীর সঙ্গে চুক্তি হতেও পারে। তবে করোনা মহামারী সমাপ্তির পর এর জন্যে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে জবাবদিহী করতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।