লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজে ভাষণ দিলেন ড. ইউনূস

ব্রিট বাংলা ডেস্ক : লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজের বিজনেস স্কুলে অনুষ্ঠিত ‘দি ফিউচার অব ফাইনান্স’ সম্মেলনে মূল ভাষণ দিয়েছেন নোবেল লরিয়েট প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণে ড. ইউনূস আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক ও নীতিনির্ধারকদেরকে এমন একটি আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান যা শুধু ধনীদের নয়, বরং সমাজের সকল মানুষের স্বার্থে কাজ করবে।
আর্থিক সেবাকে দরিদ্রদের জন্য আর্থিক অক্সিজেন হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, বর্তমান আর্থিক ব্যবস্থাটি স্বল্প সংখ্যক মানুষের হাতে সম্পদ কেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে একটি বিস্ফোরণোন্মূখ টাইম বোমায় পরিণত হয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষার সংস্কারের উপরও জোর দিতে হবে। যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে প্রচলিত প্রথায় কোম্পানীগুলোর জন্য তাদের চাহিদা মাফিক রেডিমেড গ্র্যাজুয়েট তৈরি করার পরিবর্তে বরং উদ্যোক্তা ও সামাজিক ব্যবসা উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি তরুণদেরকে উদ্যোক্তায় পরিণত করতে প্রযুক্তি ও সৃষ্টিশীলতার ভূমিকার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
লয়েড্স ব্যাংকিং গ্রুপের প্রধান নির্বাহী অ্যান্টোনিও হরতা অসরিও এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ফাইনান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড রিস্ক-এর নির্বাহী পরিচালক অ্যালেক্স ব্রেজিয়ের সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য উচ্চপদস্থ নির্বাহীদের মধ্যে ছিলেন মেগান বাটলার-এর প্রধান নির্বাহী, ইনভেস্টমেন্ট-এর পরিচালক তত্ত্বাবধান, ফাইনান্সিয়াল কনডাক্ট অথরিটি-র হোলসেল এন্ড স্পেশালিস্ট, ম্যান গ্রুপ-এর প্রধান নির্বাহী লিউক এলিস, গ্লোবাল অ্যাডভাইজারস বিটকয়েন ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড-এর পরিচালক ড্যানিয়েল মাস্টারস, ইউকে স্ট্যাটিসটিক্স অথরিটির চেয়ারপার্সন স্যার অ্যান্ড্রু ডিলনট, লিগ্যাল এন্ড জেনারেল গ্রুপ-এর প্রধান নির্বাহী নাইজেল উইলসন প্রমুখ।
নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের বিজনেস স্কুলে অনুষ্ঠিত “দি ফিউচার অব ফাইনান্স” সম্মেলনে মূল ভাষণ দিচ্ছেন।
ইম্পেরিয়াল কলেজ বিজনেস স্কুলের ডীন প্রফেসর ফ্রান্সিসকো ভেলোসো বলেন, ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অংশ হিসেবে বৃদ্ধিবৃত্তিক দূরদৃষ্টি ও গবেষণা নেতৃত্ব হচ্ছে আমাদের মূল স্বকীয়তা; প্রযুক্তি ও ব্যবসা বিষয়ক জ্ঞানকে সমন্বিত করে বর্তমান বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আমাদের উপলদ্ধি ও জ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে যাবার মতো অনবদ্য অবস্থানে রয়েছি আমরা।
প্রসঙ্গত, সম্মেলনটি ছিল এ ধরনের তৃতীয় সম্মেলন যেখানে আর্থিক খাতের বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা ও সুযোগ এবং নীতি ও চর্চার উপর এগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়।
Advertisement