তার শাহাদাত আমাদের অর্জনকে ধীর গতির করবে না।
উল্লেখ্য, মোহসেন ফাকরিজাদেহকে হত্যা আবারো ইরান ও তার শত্রুদের মধ্যে বিরোধ নতুন মাত্রা যোগ করবে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার ক্ষমতার মেয়াদে অল্প কয়েকদিন আছেন হোয়াইট হাউজে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি অনুগত নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের জন্য তিনি এ সময়েই অনেক বিষয়কে জটিল করে যাচ্ছেন। ওদিকে এরই মধ্যে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, গত রোববার সৌদি আরবের ইয়োমে অতি গোপন বৈঠক করেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখানে তারা কি নিয়ে আলোচনা করেছেন, কি উদ্দেশ্য নিয়ে ওই বৈঠক বসেছিল, কি পরিকল্পনা হয়েছে সেখানে, আঞ্চলিক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা, ইরান ইস্যুর কি হবে- এসব আলোচনা হয়েছে কিনা, তার কিছুই জানা যায়নি। কারণ, এমন গোপন বৈঠকের কথা সৌদি আরব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেও ইসরাইলের পক্ষ থেকে হা বা না কিছুই বলা হয়নি। তবে ওই বৈঠকের মাত্র কয়েকদিনের মাথায় হত্যা করা হলো মোহসেন ফাকরিজাদেহকে।
শীর্ষ বিজ্ঞানীকে হত্যার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট, প্রতিশোধের হুমকি
ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: পশ্চিমাদের চোখে ইরানে ‘গোপনে পারমাণবিক বোমা কর্মসূচির’ মূল হোতা ইরানের শীর্ষ স্থানীয় বিজ্ঞানী মোহসেন ফাকরিজাদেহকে হত্যার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এই হত্যার বদলা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন ইরানের ধর্মীয় নেতারা ও সেনাবাহিনী। ফলে নতুন করে উত্তেজনার পারদ আবার উপরে উঠছে। শুক্রবার রাজধানী তেহরানের কাছে নিজের গাড়িতে থাকা মোহসেন ফাকরিজাদেহকে হত্যা করে অস্ত্রধারীরা। এরপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে ইরান। প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে মানুষ। ইসরাইলকে উদ্দেশ্য করে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, আবারও ঔদ্ধ্যতবাদী দখলদার জিয়নিস্ট শাসকগোষ্ঠীর হাত রক্তে রঞ্জিত হলো। আমাদের শত্রুরা কতটা হতাশ ও তাদের ঘৃণা কত গভীরে তা আরো একবার দেখিয়ে দিয়েছে ফাকরিজাদেহকে হত্যার মধ্য দিয়ে।
এ বছরের শুরুর দিকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র হত্যা করে ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলাইমানিকে। সে ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আলামত প্রকাশ পায়। চারদিক থেকে সবাই সব পক্ষকে সংযত থাকার আহবান জানায়। জবাবে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের স্থাপনা লক্ষ্য করে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেই ক্ষান্তি দেয়। তবে সেই হামলায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি। এখন মোহসেন ফাকরিজাদেহকে হত্যার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে ইরান।
Advertisement