ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে গ্রেফতার হওয়া ঢাকার পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী।
শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান আইজিপি।
আইজিপি বলেন, দুবাইয়ে গ্রেফতার শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুবাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী বিনিময় চুক্তি না থাকলেও কূটনৈতিক ও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে আনা হবে।
এর আগে গত বুধবার রাতে জিসানকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো) মহিউল ইসলাম।
মহিউল ইসলাম বলেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দুবাই কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে জানিয়েছে। এছাড়া দুবাই কর্তৃপক্ষ তাকে (জিসানকে) যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো) মহিউল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে জিসানকে গ্রেফতার করা হয় বলে দুবাই কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে জানিয়েছে। এছাড়া দুবাই কর্তৃপক্ষ তাকে (জিসানকে) যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান এআইজি।
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত দেশের গত এক দশকের শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর একজন হলো জিসান। তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
রাজধানীর গুলশান, বনানী, বাড্ডা, মতিঝিলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতো সে। ইন্টারপোল তার নামে রেড অ্যালার্ট জারি করে রেখেছে।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটে জিসান সম্পর্কে বলা আছে, তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ঘটানো এবং বিস্ফোরক বহনের অভিযোগ আছে।
২০০৩ সালে মালিবাগের একটি হোটেলে দুজন ডিবি পুলিশকে হত্যার পর আলোচনায় আসে জিসান। এরপরেই গা ঢাকা দেয়। ২০০৫ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে সে দেশ ছাড়ে বলে ধারণা করা হয়।
সূত্র জানায়, সেসময় পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করে জিসান। এরপর নিজের নাম পরিবর্তন করে আলী আকবর চৌধুরী নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে।
সাম্প্রতিক দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে দুই যুবলীগ নেতা জিকে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটকের পর তার (জিসানের) নাম ফের নতুন করে আলোচনায় আসে। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে।